Advertisement
E-Paper

সাত রূপে সাত নামে সাত বিয়ে! ফাঁদে আইনজীবী ও গবেষক বরেরা! শেষ পর্যন্ত ধৃত বহরমপুরের ‘রঙ্গিলা’

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম আয়েশা সুলতানা ওরফে পাপিয়া খাতুন। তিনি বীরভূমের লাভপুরের বাসিন্দা। গত বৃহস্পতিবার রাতে বীরভূম থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করে মুর্শিদাবাদের পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০২৫ ১৭:২৯

—প্রতীকী চিত্র।

কখনও সারা, কখনও সাবা। কখনও আবার রঙ্গিলা। প্রতি বারই ভিন্ন ভিন্ন নাম ভাঁড়িয়ে প্রতারণার জাল ফাঁদতেন যুবতী। সেই ফাঁদে পা দিয়েই সর্বস্বান্ত গবেষক থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী, আইনজীবীরা। বিয়ের পরেই সোনাগয়না, টাকাপয়সা নিয়ে চম্পট! অবশেষে পুলিশের জালে সেই ‘রঙ্গিলা’।

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম আয়েশা সুলতানা ওরফে পাপিয়া খাতুন। তিনি বীরভূমের লাভপুরের বাসিন্দা। গত বৃহস্পতিবার রাতে বীরভূম থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করে মুর্শিদাবাদের পুলিশ। অভিযোগ, গত কয়েক মাসে অন্তত সাত যুবককে ‘প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে’ তাঁদের বিয়ে করে সর্বস্ব লুট করেছেন আয়েশা। গ্রেফতারের আগের রাতেও বীরভূমের নলহাটির এক যুবককে বিয়ে করেছিলেন তিনি।

তদন্তকারীদের সূত্র জানিয়েছে, ছদ্মনাম ভাঁড়িয়ে সমাজমাধ্যমে বিভিন্ন পেশার যুবকদের সঙ্গে আলাপ করতেন আয়েশা। তাঁদেরই এক জন পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দা। পেশায় গবেষক। থাকতেন সিঙ্গাপুরে। প্রেমের জালে জড়িয়ে তাঁকে দেশে ডেকে এনে সম্প্রতি বিয়েও করেছিলেন আয়েশা। বহরমপুরের রাধারঘাটে দু’জনে সংসার পাতেন। কিন্তু ২০ দিন কাটতে না-কাটতেই পালিয়ে যান যুবতী। সঙ্গে নিয়ে যান যুবকের তিন লক্ষ টাকা, ফোন আর ল্যাপটপ। পুলিশ সূত্রের দাবি, শুধু ওই গবেষক যুবকই নন, আশেয়ার ফাঁদে পা দিয়েছেন আইনজীবী, ব্যবসায়ীরাও। সমাজমাধ্যমে শুধু নাম ভাঁড়ানোই নয়, সমাজমাধ্যমের প্রোফাইলে ব্যবহার করতেন অন্যের ছবিও।

বহরমপুর থানার এক আধিকারিক বলেন, ‘‘ওই যুবতীর হাতে একাধিক যুবক প্রতারিত হয়েছেন। নাম, পরিচয়, চেহারা ভাঁড়িয়ে বিভিন্ন লোকের সঙ্গে ভাব জমাতেন ওই যুবতী।’’ গ্রেফতারির পর আয়েশার কাছ থেকে ল্যাপটপ ও বিভিন্ন জাল নথিও উদ্ধার করেছে পুলিশ।

Fraud Case Woman arrested
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy