ফাইল চিত্র।
দল ঘোষণার পরে প্রথম জনসভা থেকে বিজেপি এবং তৃণমূলকে একই সঙ্গে বিঁধলেন ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী। তাঁর বক্তব্য, ধর্মের নামে বিভাজন তৈরি করে বিজেপি বিপজ্জনক রাজনীতি করছে। আবার বিজেপিকে জমি পেতে সাহায্য করেছে তৃণমূলের কাজকর্ম। অশোকনগরের হিজলিয়া মোড় এলাকায় রবিবার ‘দলিত, আদিবাসী ও পিছিয়ে পড়া মানুষের যুক্ত মঞ্চ’-এর ব্যানারের সভায় ভিড় দেখে খুশি হয়েছেন আব্বাসেরা।
কয়েক দিন আগে ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ) নামে নতুন দলের ঘোষণা করেছেন আব্বাস। অশোকনগরে এ দিনের সভার আয়োজন করতে তাঁদের বাধা দেওয়া হয়েছে, সমর্থকদের উপরে অত্যাচার করা হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ। শাসক দলের উদ্দেশে তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘‘আমি চ্যালেঞ্জ করছি, গণতান্ত্রিক ভাবে আসুন। যদি কাজ করে থাক, উন্নয়ন করে থাক, তা হলে ভয় করছ কেন!’’ তাঁর দাবি, ‘‘এক আমপান-এ তৃণমূল ডুবে গিয়েছে! এত টাকা চুরি করেছে!’’ আব্বাসের সংযোজন, ‘‘বিজেপি ও তৃণমূল একই টাকার এ পিঠ- ও পিঠ। লোকসভায় বিজেপিকে ১৮টি আসন পেতে তৃণমূলই সাহায্য করেছে।’’ তবে তাঁর অভিযোগ প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী এবং উত্তর ২৪ পরগনার তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বক্তব্য, ‘‘ওঁর সম্পর্কে কিছু বলব না। শুধু বলতে চাই, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আসুন।’’
বিধানসভা ভোটে ক’টা আসনে তাঁরা প্রার্থী দিতে চান, সেই প্রশ্নে প্রকাশ্যে স্পষ্ট কিছু বলেননি আব্বাস। প্রশ্নের জবাবে তাঁর মন্তব্য, ‘‘কত আসনে আমরা প্রার্থী দেব, তা এখনই নির্দিষ্ট করে বলতে পারছি না। সমস্ত ধর্মের মানুষ আমাদের সঙ্গে এগিয়ে আসছেন।’’ শীঘ্রই তিনি উত্তরবঙ্গে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন আব্বাস। তাঁর মন্তব্য, কাদের সঙ্গে জোট হবে, ফ্রন্ট ঘোষণার সময়েই তা দেখা যাবে।
এই সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে এ দিন আলিমুদ্দিনে সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম বলেছেন, ‘‘ওঁদের দলের নথি আমরা পড়ে দেখেছি। সংখ্যালঘু, জনজাতি, দলিত-সহ পিছিয়ে পড়া মানুষের কথা ওঁরা বলছেন। সেটা আমাদের ভাল লেগেছে। ওঁদের সঙ্গে আলোচনা হতেই পারে।’’ তবে বাংলার লড়াইকে ‘সাম্প্রদায়িক’ চেহারা না দেওয়ার আবেদন জানিয়ে সেলিমের বক্তব্য, ‘‘এমআইএম-এর সঙ্গে ওঁদের মেলাবেন না। যাদের এখানে কোনও অস্তিত্ব নেই, তাদের নিয়ে জোর করে আলোচনার দরকার নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy