Advertisement
E-Paper

তৃণমূল নেতা খুনে অভিষেককে ক্ষোভ জানালেন নিহতের স্ত্রী

বাঁকুড়ার রাইপুরে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের চেহারা নিজের চোখেই দেখলেন তৃণমূলের যুব সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার রাতে খুন হওয়া তৃণমূল নেতা অনিল মাহাতোর পরিবারের সঙ্গে এ দিন দেখা করতে গিয়েছিলেন তিনি।

রাজদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৪:০২
গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে নিহত বাঁকুড়ার রাইপুরের ব্লক তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি অনিল মাহাতোর স্ত্রী সুলেখাদেবী এবং ছেলে শুভমের সঙ্গে কথা বলছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: অভিজিৎ সিংহ

গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে নিহত বাঁকুড়ার রাইপুরের ব্লক তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি অনিল মাহাতোর স্ত্রী সুলেখাদেবী এবং ছেলে শুভমের সঙ্গে কথা বলছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: অভিজিৎ সিংহ

বাঁকুড়ার রাইপুরে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের চেহারা নিজের চোখেই দেখলেন তৃণমূলের যুব সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার রাতে খুন হওয়া তৃণমূল নেতা অনিল মাহাতোর পরিবারের সঙ্গে এ দিন দেখা করতে গিয়েছিলেন তিনি। অনিলবাবুর বাড়ি থেকে বেরনোর সময় অভিষেকের সামনেই স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষকে ‘খুনি’ বলে পিটিয়ে দিল জনা কয়েক কর্মী!

বাঁকুড়ার রাইপুর ব্লক তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি অনিল মাহাতোকে বৃহস্পতিবার রাতে মটগোদায় দলের কার্যালয়ের বাইরে গুলি করে খুন করে আততায়ীরা। এ দিন অভিষেককে সামনে পেয়ে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দেওয়ার পাশাপাশি স্বামীর খুনিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান অনিলবাবুর স্ত্রী সুলেখা। তিনি বলেন, ‘‘দিদিকে (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) দেখেই আমরা তৃণমূলে এসেছিলাম। কিন্তু গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে আমার স্বামীকে মরতে হল! আমরা চাই, দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক।’’ সুলেখাদেবী থানায় যে ৭ জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন, তাঁদের কয়েক জন এলাকায় অনিলবাবুর বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর বলেই নিহতের সঙ্গীদের দাবি।

এলাকার বাসিন্দারাও অভিষেকের কাছে অভিযোগ করেন, দলের দ্বন্দ্বেই অনিল খুন হয়েছেন। অথচ পুলিশ কাউকে ধরতে পারেনি। সুলেখাকে অভিষেক আশ্বাস দিয়েছেন, যারাই এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকুক, তাদের ছাড়া হবে না। পুলিশকে তিন দিনের মধ্যে দোষীদের গ্রেফতার করতে বলা হয়েছে। তিনি জানান, খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দ্রুত তদন্ত করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। এক জন দোষীও যেন ছাড়া না পায়, তা দেখতে বলা হয়েছে পুলিশ-প্রশাসনকে।

ছোট ছেলে শুভমকে দেখিয়ে সুলেখাদেবী অভিষেককে জানান, সে জন্ডিসে ভুগছে। অভিষেক তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে বলেন দলের নেতাদের। পরে প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য নিজের মোবাইল নম্বর লিখে দেন তিনি। ফেরার আগে অভিষেক আলাদা ভাবে সুলেখাদেবীর সঙ্গে কথাবার্তা বলেন।

Abhisekh Bandyopadhyay TMC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy