শুভেন্দু অধিকারী এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে পদপিষ্ট হয়ে ৩ জনের মৃত্যুর ঘটনায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে এ বার ‘ডিসেম্বর’ খোঁচা দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে শুভেন্দু ডিসেম্বর মাসের যে ৩টি তারিখ ‘ঘোষণা’ করেছিলেন, তার মধ্যে একটি হল ১৪ ডিসেম্বর। সেই দিনেই অর্থাৎ বুধবার শুভেন্দুর কম্বল বিতরণ কর্মসূচিতে ওই মর্মান্তিক ঘটনার পর ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেকের টুইটারে আশঙ্কা প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘‘২১ ডিসেম্বর এর চেয়েও খারাপ কিছু ঘটবে না তো?’’
গত বেশ কিছু দিন ধরেই ডিসেম্বরের ১২, ১৪ এবং ২১— এই ৩টি তারিখের দিকে নজর রাখার কথা বলে আসছিলেন শুভেন্দু। তাঁর ইঙ্গিত ছিল, ওই দিনগুলিতে রাজ্যে বড় কিছু ঘটতে পারে। ঘটনাচক্রে, গত ১২ ডিসেম্বর বগটুইকাণ্ডে সিবিআই হেফাজতে থাকা লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা গোটা রাজ্যে শোরগোল ফেলেছে। তার পর থেকেই শুভেন্দুকে ডিসেম্বরের ‘দিন ঘোষণা’ নিয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছেন শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীরা। ১৪ তারিখেও রাজ্যে ৩ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। শুভেন্দুরই কর্মসূচিতে।
এর পরেই টুইটারে অভিষেক লেখেন, ‘‘১২, ১৪ এবং ২১ তারিখে ডিসেম্বর ধামাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই মতোই ১২ ডিসেম্বর সিবিআই হেফাজত থেকে লালনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। ১৪ ডিসেম্বর ওঁর (শুভেন্দু) তৈরি করা বিশৃঙ্খলায় আসানসোলে তিন জনের প্রাণ গিয়েছে।’’ তৃণমূল সাংসদের আশঙ্কা, ‘‘২১ ডিসেম্বর কি আরও বড় কিছু অপেক্ষা করছে?’’
অভিষেকের টুইটের পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপিও। দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণচন্দ্র ঘড়ুই বলেন, ‘‘পুলিশের কাছে আগেই অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। জানানো হয়েছিল, বিরোধী দলনেতা যাবেন। পুলিশ প্রশাসনের উচিত ছিল সব রকম বন্দোবস্ত করা। এখন পুলিশ প্রশাসন এবং রাজ্য সরকার নিজেরদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য বিরোধী দলনেতাকে নিশানা করছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূলের যে সব নেতা বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে আঙুল তুলছেন, তাঁরা আগে জানুন, ঘটনাটা ঘটার অনেক আগেই উনি (শুভেন্দু) সেখান থেকে চলে গিয়েছিলেন। আমরা এর তীব্র বিরোধিতা করছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy