দু’জনে: সোনামুখীর জনসভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তালড্যাংরার বিধায়ক সমীর চক্রবর্তী। ছবি: শুভ্র মিত্র।
ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতি করার অভিযোগ বিজেপি-র বিরুদ্ধে বরাবর করে এসেছে তৃণমূল। এ বার সেই অভিযোগে সিপিএমকেও বিদ্ধ করলেন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবার বাঁকুড়ার সোনামুখীর ধানসিমলায় জনসভায় অভিষেক বলেন, ‘‘সিপিএম, বিজেপি হাত মিলিয়ে বাংলাকে ভাগ করতে চাইছে। সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিচ্ছে। মনে রাখুন, এখানে যুদ্ধ হলে ১০ কোটি বঙ্গবাসীর সঙ্গে সিপিএম-বিজেপির হবে। হিন্দু-মুসলমানের হবে না!’’ বসিরহাটে অশান্তিতে বিজেপি-র বিরুদ্ধে উস্কানির অভিযোগ করেছেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনাচক্রে এ দিনই আসানসোলের এক বিজেপি নেতাকে উস্কানিমূলক ভিডিও পোস্ট করার অভিযোগে সিআইডি ধরেছে।
এই আবহে পঞ্চায়েত ভোটের আগে সিপিএম-কেও একই দোষে দুষলেন অভিষেক। ২১ জুলাই শহিদ দিবসের প্রস্তুতি সভায় তাঁর অভিযোগ, ‘‘সিপিএম মুখে গামছা বেঁধে ছদ্মবেশে আসত। বিজেপি আসছে পদ্মবেশে। বাড়ি, এলাকার দেওয়ালে লিখে রাখুন, ছদ্মবেশী আর পদ্মবেশী থেকে সাবধান।’’ অভিষেকের দাবি, ‘‘যাঁরা লাল জামা পরে থাকতেন, তাঁরাই এখন গেরুয়া জামা পরছেন।’’ যদিও সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অমিয় পাত্রের বক্তব্য, ‘‘রাজনীতিতে
নবাগত অভিষেক অভিজ্ঞতার অভাব থেকেই ওই মন্তব্য করেছেন। সিপিএমকে যাঁরা চেনেন, তাঁরা কখনওই আমাদের সাম্প্রদায়িক বলতে পারবেন না।’’ এ দিনও দলের পুরনো কর্মীদের অভিমান ভাঙানোর চেষ্টা চালিয়েছেন যুব সভাপতি। তাঁর নির্দেশ, ‘‘শীঘ্রই প্রতি বুথে বুথে দলের ২০ জন পুরনো কর্মীকে সংবর্ধনা দিতে হবে। ওঁরা আমাদের সম্পদ। ওঁরা না থাকলে আমরা থাকব না।’’ পুরনো কর্মীদের আক্ষেপ, দলের দুঃসময়ে তাঁরা ছিলেন, কিন্তু সুসময়ে ব্রাত্য। অভিষেক বলেন, ‘‘যাঁরা বলেন দুঃসময়ের কর্মী, মনে রাখবেন, তৃণমূলে কোনও দিনই দুঃসময় ছিল না। রাজ্যে বিরোধী থাকার সময়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্রিগেড যাওয়ার ডাকে কলকাতার পথে মানুষের ঢল নামত। এখনও নামে।’’ তিনি জানিয়ে দেন, নতুনেরা যোগ্য হলে পদ পাবেন। তা বলে পুরনোদের বঞ্চিত করা চলবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy