Advertisement
০৭ মে ২০২৪

তৃণমূলের হাত না ধরা মূর্খামি, মত সিঙ্ঘভির

মোদী সরকারের তিন বছরের সমালোচনা করতে এ দিন বিধান ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করেন অভিষেক। সেখানে মূলত দেশের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদী হানা রুখতে মোদী সরকার চূড়ান্ত ব্যর্থ’’।

ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০১৭ ০৩:১৮
Share: Save:

নারদা-কাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাদের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করার পরে প্রদেশ কংগ্রেস তাঁকে এ রাজ্যে ‘বয়কটের’ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। রাজ্যের কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে তাঁকে না ডাকারই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন প্রদেশ নেতারা। তাই শনিবার প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে এআইসিসির মুখপাত্র অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির সাংবাদিক সম্মেলনে এলেন না রাজ্য কংগ্রেসের কোনও উল্লেখযোগ্য নেতাই। সঙ্গে ছিলেন শুধু মাত্র রাজ্য ক‌ংগ্রেসের এক সহ-সভাপতি দেবব্রত বসু এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের সভাপতি নীলাঞ্জন রায়। আর সেখানেই অভিষেক বললেন, ‘‘জাতীয় স্তরে তৃণমূল এবং কংগ্রেস দু’জনে দু’জনের হাত ধরাধরি করে না চললে মূর্খামি হবে।’’

মোদী সরকারের তিন বছরের সমালোচনা করতে এ দিন বিধান ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করেন অভিষেক। সেখানে মূলত দেশের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদী হানা রুখতে মোদী সরকার চূড়ান্ত ব্যর্থ’’। বাকি প্রশ্নোত্তর পর্ব ছিল তৃণমূল ও কংগ্রেসের সম্পর্ক ঘিরে। সেখানেই কুশলী জবাবে আইনজীবী সিঙ্ঘভি বলেন, ‘‘এ রাজ্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়া যাবে না। কিন্তু জাতীয় স্তরের রাজনীতি আলাদা। তাই মোদী বিরোধিতায় তৃণমূলের সঙ্গে হাত না মেলালে দু’তরফেরই মূর্খামি হবে।’’

অভিষেক মুখে এ কথা বললেও নারদ-মামলা নিয়ে তাঁর ভূমিকায় প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব যে ‘অসন্তুষ্ট’, তা বুঝিয়ে দিতে এ দিন বিধান ভবনে চেষ্টার ত্রুটি ছিল না। দলীয় নেতা ও কর্মীদের উপস্থিতি দূরের কথা, সিঙ্ঘভির জন্য মধ্যাহ্নভোজের ব্যবস্থা রাখা হয়নি। পরে তড়িঘড়ি ভাত, ডাল, নিরামিষ সব্জির থালি হাজির করা হয় তাঁর দুপুরের খাওয়ার জন্য। তাঁকে রাজ্য নেতারা ‘বয়কট’ করছেন বুঝেও অবশ্য কোনও মন্তব্যে রাজি হননি অভিষেক।
তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমি তো কংগ্রেস দফতরে বসেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথাবার্তা বলছি। আর রাজ্যের নেতারা জেলায় ব্যস্ত রয়েছেন। তাই এখানে আসেননি।’’

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমরা কপিল সিব্বলকে বয়কটের কথা বলেছিলাম। সিঙ্ঘভিকে নয়।’’

তা হলে এ দিন বিধান ভবনে তাঁরা কেউ ছিলেন না কেন? এ প্রশ্ন শুনেই ফোন কেটে দেন অধীর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE