বেসরকারি আবহাওয়া পূর্বাভাস সংস্থাগুলি বর্ষার মতিগতি নিয়ে যা-ই বলুক না কেন, কেন্দ্রীয় আবহাওয়া মন্ত্রক তা সমর্থন করছে না। দিল্লির মৌসম ভবন মঙ্গলবার আশ্বাস দিয়েছে, এ বার দেশে স্বাভাবিক বর্ষা হবে। দেশ জুড়ে বৃষ্টির পরিমাণে সামঞ্জস্যও থাকবে। অর্থাৎ বর্ষা কোনও অঞ্চলকেই বঞ্চিত করবে না।
‘‘এ বার বর্ষায় গড়পড়তা ৯৬ শতাংশ বৃষ্টি পাবে গোটা দেশ। এটা স্বাভাবিক বর্ষা। ৯৬ শতাংশের কম বৃষ্টি হলে তাকে ঘাটতি-বৃষ্টি বলা হয়,’’ এ দিন বলেছেন দিল্লির কেন্দ্রীয় আবহাওয়া মন্ত্রকের ডিরেক্টর জেনারেল কে জে রমেশ।
তা হলে বেসরকারি আবহাওয়া পূর্বাভাস সংস্থাগুলি ঘাটতি-বৃষ্টির পূর্বাভাস দিচ্ছে কীসের ভিত্তিতে, সেই প্রশ্ন উঠছে। শীতের পর থেকে সারা দেশে আবহাওয়ার গতিপ্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করে বেসরকারি কিছু সংস্থা জানিয়েছিল, এ বার বর্ষা স্বাভাবিকের মাত্রা ছুঁতে পারবে না। তাদের যুক্তি ছিল, ‘এল নিনো’ (প্রশান্ত মহাসাগরে জলপ্রবাহের তাপমাত্রা অস্বাভাবিক বৃদ্ধি) যে-ভাবে শক্তি বাড়াচ্ছে, তা স্বাভাবিক বর্ষার প্রতিকূল। বেসরকারি আবহাওয়া পূর্বাভাস সংস্থাগুলি মঙ্গলবারেও নিজেদের বক্তব্যে অনড়। ওই সব সংস্থার আবহবিজ্ঞানীদের দাবি, প্রশান্ত মহাসাগরের এল নিনো শক্তি বাড়াবে মে মাসের পরে। তার প্রভাব পড়বে বর্ষার উপরে।
মৌসম ভবনের এ দিনের আশ্বাসে অবশ্য খুব একটা আস্থা রাখতে পারছেন না অনেকেই। রাজ্যের কৃষি দফতরের এক অবসরপ্রাপ্ত অফিসার জানান, গত বছর দেশে অতিবৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল মৌসম ভবন। কিন্তু বর্ষার মরসুম শেষে দেখা যায়, টায়েটুয়ে স্বাভাবিক বৃষ্টি পেয়েছে দেশ। বিভিন্ন অঞ্চলের বর্ষণে কোনও সামঞ্জস্যও ছিল না। তামিলনাড়ু, কেরল, কর্নাটকের কিছু এলাকায় কার্যত খরা-পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy