কিষেণদা ওরফে প্রশান্ত বসু
কিষেণজি প্রাণ হারিয়েছেন সাড়ে পাঁচ বছর আগে। এ বার রাজ্য পুলিশ দাবি করল, মাওবাদীদের ‘সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড’ কিষেণদা ওরফে প্রশান্ত বসুও মারা গিয়েছেন। কলকাতার বিজয়গড় কলোনির আদি বাসিন্দা প্রশান্ত বসু দলীয় পদমর্যাদায় ছিলেন সিপিআই (মাওবাদী)-এর সাধারণ সম্পাদক গণপতি ওরফে মুপাল্লা লক্ষ্মণ রাওয়ের পরে।
গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, কিষেণজির মতো সংঘর্ষে নয়, কিষেণদার মৃত্যুর কারণ দীর্ঘ অসুস্থতা। তাঁর বয়স হয়েছিল আশির কাছাকাছি। গত ফেব্রুয়ারিতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে ছত্তীসগঢ় কিংবা বিহারের কোনও এলাকায়।
মাসখানেক আগে আইবি-র এক অফিসার প্রথমে খবর পান, কিষেণদা মারা গিয়েছেন। তবে আইবি তখনই ততটা নিশ্চিত হতে পারেনি। স্বরাষ্ট্র দফতর সূত্রের খবর, মাওবাদী দমনে গঠিত রাজ্য পুলিশের বিশেষ বাহিনী সিআইএফ (কাউন্টার ইনসার্জেন্সি ফোর্স)-এর তরফে দিন সাতেক আগে আইবি-র এক কর্তাকে একটি সংক্ষিপ্ত বার্তা পাঠানো হয়। তাতে বলা হয়, মাওবাদী সদস্যদের মোবাইলে আড়ি পেতে তাদের কথোপকথন থেকে কিষেণদার মৃত্যুর খবর জানা গিয়েছে।
সিপিআই (মাওবাদী) অবশ্য এ নিয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। কিষেণদার মাথার দাম ছিল প্রায় দেড় কোটি টাকা। তাঁর কার্যকলাপের জায়গা ছিল মূলত বিহার, ঝাড়খণ্ড ও ছত্তীসগঢ়।
মাওবাদী নেতাদের মৃত্যু বা গুরুতর আঘাত পাওয়ার ভুয়ো খবর মাঝেমধ্যেই রটে। ২০১০-এর মার্চে শালবনির হাতিলোটের জঙ্গলে এক সংঘর্ষে কিষেণজির মৃত্যু হয়েছে বলে রটে গিয়েছিল। তাই মাওবাদীদের একটি সূত্র থেকে এক মাস আগে কিষেণদার মৃত্যুর খবর পেলেও গোয়েন্দারা তখনই নিশ্চিত না হয়ে খোঁজখবর শুরু করেন। তবে সিআইএফের ওই সংক্ষিপ্ত বার্তার পর গোয়েন্দারা মনে করছেন, আর এই নিয়ে সংশয়ের কারণ নেই।
সত্তরের দশকে পশ্চিমবঙ্গে নকশাল রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত প্রশান্ত বসু এক সময় এই রাজ্য ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। পরে ওড়িশার বারিপদায় জেল খাটেন। কিষেণদার স্ত্রী শীলা মরান্ডিও ছিলেন সিপিআই (মাওবাদী)-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। ২০০৬-এ তিনি গ্রেফতার হন। মাওবাদী শীর্ষনেতাদের মধ্যে প্রশান্ত বসুরই ছদ্মনাম প্রথম ছিল কিষেণ। পরবর্তী সময়ে
মালোজুলা কোটেশ্বর রাওয়ের ছদ্মনামও হয় কিষেণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy