Advertisement
E-Paper

শিশু পাচার ঢাকতে সরকারি ওয়েবসাইটে দেওয়া হত ভুল তথ্য

কেন্দ্রীয় সরকারের ওয়েবসাইটে ভুল তথ্য দিয়ে জলপাইগুড়ির আশ্রয় হোমের ১৭টি শিশুকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করল সিআইডি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০১৭ ০৪:১৮
চক্রী: সিআইডি দফতরে অভিযুক্ত দেবাশিস চন্দ। নিজস্ব চিত্র

চক্রী: সিআইডি দফতরে অভিযুক্ত দেবাশিস চন্দ। নিজস্ব চিত্র

কেন্দ্রীয় সরকারের ওয়েবসাইটে ভুল তথ্য দিয়ে জলপাইগুড়ির আশ্রয় হোমের ১৭টি শিশুকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করল সিআইডি।

ওই হোমের কর্ণধার চন্দনা চক্রবর্তী ও বিজেপির বহিষ্কৃত নেত্রী জুহি চৌধুরীকে পিনটেল ভিলেজে লাগাতার জেরার পরে এ কথা জানান তদন্তকারীরা। তাঁরা জানান, জাল নথি তৈরি করে কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে ভুল তথ্য দিতেন আশ্রয় হোম কর্তৃপক্ষ। দিল্লির অফিসারদের চোখে তা ধরা পড়ে যায়। তাঁরা হোমটি বন্ধ করে দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করেন। তা কানে আসতেই জুহির সাহায্যে দিল্লির ‘প্রভাবশালী’ মহলে দরবার করার শুরু করেন চন্দনা।

ওয়েবসাইটে ভুল তথ্য দেওয়ার কাজে চন্দনাকে সাহায্য করতেন দার্জিলিঙের জেলা শিশু সুরক্ষা আধিকারিক মৃণাল ঘোষ ও চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির সদস্য দেবাশিস চন্দ। দু’জনকেই গ্রেফতার করে জেরা করা হচ্ছে। রবিবার বিকেলে মৃণালবাবুর মতোই তাঁর স্ত্রী, জলপাইগুড়ির ডিসিপিও সাস্মিতা ঘোষকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

১৭টি শিশুকে কাদের বিক্রি করা হয়েছে, তার একটি লুকিয়ে রাখা তালিকার হদিস করছে সিআইডি। হোমের এক প্রাক্তন কর্মীর দেওয়া তথ্য ধরেই এগোচ্ছেন অফিসারেরা।

সিআইডি সূত্রের খবর, ২০১৪ সালের আগে ১৭টি শিশুটিকে হোমে আনা হয়। কিন্তু কোথা থেকে কী ভাবে আনা হয়েছিল, তার নথিপত্র রাখা হয়নি। দু’বছরের মধ্যে তাদের বিক্রির পরেই শুরু হয় জাল নথি তৈরি। প্রথমেই ১৭ জনের ভুয়ো বাবা-মায়ের নাম, ঠিকানা দিয়ে তালিকা তৈরি হয়। তা হতেই শিশুগুলি উদ্ধার হয়েছে বলে সরকারি ভাবে জানানো হয়। তার পরে বাচ্চাদের আসল বাবা-মার খোঁজও মিলেছে বলে ঘোষণা হয়।

Child Trafficking
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy