Advertisement
E-Paper

রাগের চোটে পরপর কোপ, খুনি অধরাই 

গত বৃহস্পতিবার বিকালে হেঁসো দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল চাকদহের যুব তৃণমূল নেতা সুধীনকে। কিন্তু অভিযুক্ত শুভঙ্কর মজুমদার ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা। শনিবার রাত পর্যন্ত রক্তমাখা হেঁসোটাও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। 

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০১৯ ০৬:২৬
রাস্তায় পড়ে তৃণমূল নেতা সুধীন সোমের ক্ষতবিক্ষত দেহ। চাকদহের ৫২ নম্বর রেলগেটের কাছে।—ফাইল চিত্র

রাস্তায় পড়ে তৃণমূল নেতা সুধীন সোমের ক্ষতবিক্ষত দেহ। চাকদহের ৫২ নম্বর রেলগেটের কাছে।—ফাইল চিত্র

খুব রাগ না থাকলে এ ভাবে কেউ কাউকে কুপিয়ে খুন করতে পারে না! সুধীন সোমের মৃতদেহে আঘাতের চিহ্ন দেখার পরে এ ব্যাপারে প্রায় নিশ্চিত পুলিশ। কিন্তু, কী কারণে সুধীনকে সে খুন করেছে, সে ব্যাপারে পুলিশ এখনও অন্ধকারে।

গত বৃহস্পতিবার বিকালে হেঁসো দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল চাকদহের যুব তৃণমূল নেতা সুধীনকে। কিন্তু অভিযুক্ত শুভঙ্কর মজুমদার ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা। শনিবার রাত পর্যন্ত রক্তমাখা হেঁসোটাও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

পুলিশের দাবি, শুভঙ্করকে ধরার জন্য কয়েকটি জায়গায় হানা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি। তাকে ধরতে পারলে তবেই খুনের কারণ পরিষ্কার হতে পারে। তবে, খুব রাগ না থাকলে কেউ কাউকে যে এ ভাবে কোপের পর কোপ মেরে খুন করতে পারে না, এ ব্যাপারে প্রায় নিশ্চিন্ত তদন্তকারীরা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চাকদহ শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের ঘুঘিয়া ৫২ রেলগেট এলাকার বাসিন্দা ও স্থানীয় যুবনেতা সুধীন সোম ওরফে টলা দিন পাঁচেক বাড়িতে ছিলেন না। তিনি তারাপীঠে বেড়াতে গিয়েছিলেন। ওই সময়ে তাঁদের বাড়িতে এবং বাড়ির কাছে দলীয় কার্যালয়ে সুধীনের খোঁজ করেছিল শুভঙ্কর। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টে নাগাদ তিনি বাড়ি ফেরেন। সেই সময়ে শুভঙ্করের স্ত্রী নয়ন মজুমদার তাঁকে ফোন করে বাড়িতে যেতে বলেন। সুধীন ঘরেও ঢোকেননি। তাঁর স্ত্রী গায়ত্রী খেয়ে যাওয়ার কথা বললেও তিনি কান দেননি। তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে চলে যান কমবেশি দেড়শো মিটার দূরে শুভঙ্করের বাড়িতে। ঘরের মধ্যে তাদের কোনও বিষয় নিয়ে তর্কাতর্কি হচ্ছিল। সেই সময়েই শুভঙ্কর হেঁসো দিয়ে কোপ মারে বলে অভিযোগ। সুধীন ঘর থেকে বেরিয়ে পালানোর চেষ্টা করলেও কয়েক পা গিয়ে পড়ে যান। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, পিছু ধাওয়া করে এসে শুভঙ্কর তাঁর হাতে, গলায়, পেটে এলোপাথাড়ি কোপায়। তিনি মারা গিয়েছেন, এটা নিশ্চিত হওয়ার পরেই সে চম্পট দেয়।

এই খুনের পরে শুভঙ্করের স্ত্রী নয়ন জনরোষের মুখে পড়েছিলেন। তাঁকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। চাকদহ থানার দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছেন: বদমেজাজি স্বামীর সঙ্গে তাঁর প্রায়ই অশান্তি হত। সুধীন এসে মধ্যস্থতা করতেন। সে দিনও অশান্তি হয়েছিল। তাই তিনি সুধীনকে ফোন করে ডেকেছিলেন। তবে তাঁর স্বামী কোথায় গিয়েছে, তা তিনি জানাতে পারেননি। আপাতত নয়নকে পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে।

Crime Murder TMC Leader Police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy