Advertisement
E-Paper

অ্যাডিলেডে দ্বিতীয় দিনেও ‘স্নিকোমিটার’ বিতর্ক, ক্ষিপ্ত স্টোকস, তৃতীয় টেস্টে একাই লড়াই ইংরেজ অধিনায়কের

অ্যাশেজ়ে কাটছে না ‘স্নিকোমিটার’ বিতর্ক। দ্বিতীয় দিনও একটি আউটকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি হল। রাগে ফুঁসলেন বেন স্টোকস। দু’টি ক্ষেত্রেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে গিয়েছে আবেদন। ফলে অ্যাশেজ়ের উত্তাপ বেড়েই চলেছে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৩:৪৯
cricket

আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অবাক স্মিথ (ডান দিকে)। পাশে স্টোকস। ছবি: সমাজমাধ্যম।

অ্যাশেজ়ের তৃতীয় টেস্টে কিছুতেই কাটছে না ‘স্নিকোমিটার’ বিতর্ক। প্রথম দিনের পর দ্বিতীয় দিনেও একটি আউটকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি হল। রাগে ফুঁসলেন বেন স্টোকস। দু’টি ক্ষেত্রেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে গিয়েছে আবেদন। ফলে অ্যাশেজ়ের উত্তাপ বেড়েই চলেছে।

প্যাট কামিন্সের একটি ওভারে ঘটনাটি ঘটে। তিনি বল করেছিলেন জেমি স্মিথকে। স্মিথ পুল শট খেলতে গিয়েছিলেন। বল জমা পড়ে উইকেটকিপার অ্যালেক্স ক্যারের হাতে। আম্পায়ার নীতীন মেনন তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে জানতে চান, ক্যারের ক্যাচটি বৈধ কি না। রিপ্লে-তে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে, ব্যাট এবং বলের মধ্যে দূরত্ব রয়েছে। তবে স্নিকোমিটারে দেখা যায়, স্মিথের ব্যাটের পাশ দিয়ে বল যাওয়ার সময় রেখচিত্রে কম্পন ধরা পড়ছে। নিয়ম মেনে তৃতীয় আম্পায়ার ক্রিস গাফানির আউট দেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না। স্মিথ আউট হতেই রাগে ফেটে পড়েন স্টোকস। মাঠেই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করতে দেখা যায় তাঁকে। মাথা নাড়তে নাড়তে ফিরে যান স্মিথও।

ধারাভাষ্যকারেরা জানান, ঘটনার রিপ্লে দেখে তাঁরা বিষয়টি সঠিক বুঝতে পারছেন না। তবে ছবি এবং শব্দের মধ্যে সাযুজ্য রয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। খুশি নন অস্ট্রেলিয়ার বোলার মিচেল স্টার্কও। স্টাম্প মাইকে ধরা পড়ে তাঁর বিরক্তি। তিনি বলেছেন, “স্নিকোমিটার বিষয়টাকেই উঠিয়ে দেওয়া উচিত। সবচেয়ে খারাপ প্রযুক্তি এটা।”

এ দিকে, দ্বিতীয় দিনে দু’টি নজির তৈরি হয়েছে। অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়া দলে ফিরেছেন কামিন্স। তিনি আবার আউট করেছেন ইংল্যান্ডের জো রুটকে। এই নিয়ে টেস্টে ১২ বার রুটকে আউট করলেন কামিন্স। টপকে গেলেন জসপ্রীত বুমরাহকে।

কামিন্সের মতোই অ্যাডিলেডে প্রথম একাদশে প্রত্যাবর্তন হয়েছে নেথান লায়নের। এ দিন তিনি টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ উইকেটশিকারিদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন। টেস্টে ৫৬৪টি উইকেট হল লায়নের। অলি পোপকে আউট করে ৫৬৩তম উইকেট নিয়ে গ্লেন ম্যাকগ্রাকে ছুঁয়ে ফেলেন। এর পর বেন ডাকেটকে আউট করে ম্যাকগ্রাকে টপকে যান। তা দেখে ধারাভাষ্যকার ম্যাকগ্রা মজা করে চেয়ার ছুড়ে মারার ভঙ্গি করেন। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেট শেন ওয়ার্নের (৭০৮)।

বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস শেষ হয়ে যায় ৩৭১ রানে। ব্রিসবেনের মতো অ্যাডিলেডেও ব্যাট হাতে সফল মিচেল স্টার্ক। অর্ধশতরান করেন তিনি। জফ্রা আর্চারকে চারটি চার মেরে অর্ধশতরান করতে দেখা যায় তাঁকে। সহজেই রান উঠতে থাকায় আর্চারের উপর রেগে যান স্টোকস। উত্তপ্ত বাদানুবাদ হয় দুই ইংরেজ ক্রিকেটারের। কিছু ক্ষণ পরেই আর্চার আউট করে দেন স্টার্ককে। তার পর সেই আর্চারের সঙ্গে উচ্ছ্বাসে মাতেন স্টোকস।

ব্যাট করতে নেমে আবার ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে ইংল্যান্ড। শুরুতেই জ়াক ক্রলি (৯) এবং অলি পোপকে (৩) হারায় তারা। বেন ডাকেট (২৯) এবং জো রুট (১৯) বেশি ক্ষণ লড়াই করতে পারেননি। কিছুটা লড়াই করেন হ্যারি ব্রুক (৪৫)। তিনি ফিরতেই ইংল্যান্ডের খেলার ধরন বদলে যায়। আগ্রাসী ক্রিকেটের বদলে তারা ধরে খেলতে শুরু করে। দিনের শেষে ক্রিজ়ে টিকে স্টোকস। তিনি ১৫১ বলে ৪৫ রানে অপরাজিত। সঙ্গী জফ্রা আর্চার ৩০ রানে অপরাজিত।

The Ashes 2025-26 Ben Stokes Jamie Smith Jofra Archer Alex Carey
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy