Advertisement
E-Paper

সবং নিয়ে পাশে অধীর, নবান্ন চলোর ডাক এ বার কংগ্রেসের

ছাত্র খুনের ঘটনায় পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকার প্রতিবাদে সবংয়ে অবস্থানে বসেছেন স্থানীয় বিধায়ক ও প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি মানস ভুঁইয়া। এ বার গোটা কংগ্রেসকেই তাঁর ওই আন্দোলনের পাশে পেয়ে গেলেন তিনি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০৩:০১

ছাত্র খুনের ঘটনায় পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকার প্রতিবাদে সবংয়ে অবস্থানে বসেছেন স্থানীয় বিধায়ক ও প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি মানস ভুঁইয়া। এ বার গোটা কংগ্রেসকেই তাঁর ওই আন্দোলনের পাশে পেয়ে গেলেন তিনি। সবংয়ের ঘটনা-সহ রাজ্য জুড়ে খুন, ধর্ষণ ও অরাজকতার বিরুদ্ধে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর ‘নবান্ন চলো’র ডাক দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। সেই সঙ্গেই মঙ্গলবার নির্দেশিকা জারি করে দলের সাংসদ, বিধায়ক-সহ যাবতীয় পদাধিকারীকে সবংয়ের অবস্থানে যোগ দিয়ে আন্দোলনকে ‘সফল’ করতে বলেছেন তিনি। প্রয়োজন হলে প্রদেশ সভাপতি নিজেও ফের সবংয়ে যেতে পারেন বলে কংগ্রেস সূত্রের খবর।

বিধানসভা ভোটের আগে এখন ধাপে ধাপে সরকারের বিরুদ্ধে আরও আগ্রাসী ভূমিকা নিচ্ছে বাম ও কংগ্রেস। এবং এই পর্বে দুই বিরোধী দলের মধ্যে সমন্বয়ও চোখে পড়ছে। যা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। সদ্যই ‘নবান্ন অভিযান’ ঘিরে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেধেছিল বামেদের। সে দিনের আক্রমণাত্মক মেজাজের পরে আজ, বুধবার নতুন উদ্যমে সাধারণ ধর্মঘট সফল করতে ময়দানে নামছেন বাম নেতা-কর্মীরা। অধীর ও মানসবাবু সেই ধর্মঘটকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন। তার জন্য বামেদের তরফে বিমান বসু, শ্যামল চক্রবর্তীরা ধন্যবাদ জানিয়েছেন কংগ্রেসকে। এর পরেই বামেদের কায়দায় ‘নবান্ন চলো’র পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন অধীর। তিনি এ দিন বলেছেন, ‘‘সবংয়ে ছাত্র পরিষদের কর্মী কৃষ্ণপ্রসাদ জানা ও কেতুগ্রামে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী সাহিনা খাতুনকে খুন এবং বাংলা জুড়ে ধর্ষণ, অরাজকতা ও দুর্নীতির প্রতিবাদে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে নবান্ন চলো-র ডাক দেওয়া হয়েছে। বাংলায় সর্বস্তরের কংগ্রেস নেতৃত্ব ও কর্মীদের এই কর্মসূচি সফল করার অনুরোধ জানাচ্ছি।’’

সবংয়ে অবস্থানে বসার আগেই প্রদেশ সভাপতি অধীর, পরিষদীয় দলনেতা মহম্মদ সোহরাবকে চিঠি দিয়েছিলেন মানসবাবু। বিষয়টি জানিয়েছিলেন দলের সর্বভারতীয় সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী ও সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধীকেও। গোটা দলকে সবংয়ের আন্দোলনে সামিল করার জন্য অধীরের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে এ দিন অবস্থান-মঞ্চ থেকেই মানসবাবু বলেছেন, ‘‘সাড়ে চার বছরের তৃণমূল জমানায় কৃষ্ণপ্রসাদই প্রথম ক্যাম্পাসে নিহত। তার হত্যার প্রতিবাদে এই আন্দোলনকে সারা রাজ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে।’’ তবে বামেদের দেখাদেখি তাঁরা নবান্ন চলো-র ডাক দিয়েছেন, এমন ব্যাখ্যা মনছেন না অধীর। তাঁর ঘনিষ্ঠ শিবিরের যুক্তি, তৃণমূলের জমানায় কংগ্রেস এর আগেও এক বার নবান্ন অভিযান করেছিল।

প্রথম দিন আব্দুল মান্নানের পরে মানসবাবুদের অবস্থানের দ্বিতীয় দিনে সবংয়ে এ দিন উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস পরিষদীয় দলের উপনেতা নেপাল মাহাতো, সচেতক অসিত মিত্র, প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মনোজ পাণ্ডে, অজয় ঘোষ, যুব কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি অরিন্দম ভট্টাচার্য প্রমুখ। ধর্মঘটের পরে সোহরাব, সাংসদ মৌসম বেনজির নূর, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দীপা দাশমুন্সিরা অবস্থান-মঞ্চে যেতে পারেন বলে দলীয় সূত্রে খবর।

adhir choudhuri nabanna march sabang issue adhir nabanna march
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy