চেনা মুখ ছুঁয়ে থাকা দৃষ্টি তো কবেই ঢেকেছে মাস্কে। এলোমেলো আড্ডা, চায়ের গেলাসটাও সূদূরের স্মৃতি। তবু এমএ ক্লাসের শেষ পর্বে প্রেমে-পড়া যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের দুই সহপাঠীকে নিয়ে ‘ভার্চুয়াল’ ঠাট্টার উপাদানে কম পড়েনি বর্ষণা, অন্বেষা, অভিজিৎদের। বেচারিদের প্রেম শুরুর এক মাসের মধ্যেই লকডাউন। করোনাকালের প্রণয়ে দু’জনের সাকুল্যে দেখাই হয়েছে বার চারেক। ডিসেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয় খুললেও এই নব্য প্রেমিক-প্রেমিকার কলেজ জীবনটা তত দিনে ফুরিয়েই যাচ্ছে বিচ্ছেদ-ঝড়ে। দু’দিন আগে ব্যাচটার ‘ফেয়ারওয়েল’ পর্ব চুকে গেল ‘গুগল’ মোলাকাতে।
জয়পুরিয়া ও মণীন্দ্র কলেজের কলেজের ইউনিয়নের দুই তরুণ তুর্কি নেতারও মনটন ভাল নেই! ‘‘নতুন ফার্স্ট ইয়ার অনলাইনে ভর্তি হয়ে গেল। ফ্রেশার্সে নবাগতাদের সামনে কেতা দূরে থাক, একখান নতুন মুখও চোখের দেখা দেখলুম না!’’ ডিসেম্বরে কলেজ খোলার ঘোষণা ইস্তক তাই শহরে, জেলায় অনেকের প্রাণেই অন্য আগমনি! ‘কাম ডিসেম্বর’!
অতিমারিতে বাধ্যতামূলক যৌথ যাপনে প্রবীণ দম্পতিদের প্রেমজীবনে উন্নতি হলেও হতে পারে, তারুণ্যের আবেগ বেশ খানিকটা ধাক্কা খাচ্ছে। কলকাতার দক্ষিণের লেক এ তদিন শুধু প্রাতর্ভ্রমণ-পর্বে খোলা হয়েছে, ইদানীং বিকেলেও ক’ঘণ্টা দ্বার অবারিত। তবে পুলিশের বড়বাবু-মেজবাবুদের পর্যবেক্ষণ, কলেজের ক্লাস বন্ধ। ক্লাস কেটে প্রেমও দেখছি বন্ধ।