২১ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ। প্রতীকী ছবি।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগের পর এ বার উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েও অনিয়মের অভিযোগ উঠল। অভিযোগ এই যে, উচ্চ প্রাথমিকের কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে তফসিলি জাতি এবং উপজাতির আসন সংরক্ষণের নিয়ম মানা হয়নি। ফলে অনেক ক্ষেত্রে তফসিলি উপজাতির আসনে জায়গা পেয়েছেন তফসিলি জাতিভুক্ত পরীক্ষার্থীরা। এমন অন্তত ৭৫টি অনিয়মের অভিযোগে হাই কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। মঙ্গলবার আদলতকে রাজ্য জানিয়েছে, তারা ইতিমধ্যেই এ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে রয়েছে মামলাটি। মামলাকারী বেঞ্চকে জানিয়েছেন, উচ্চ প্রাথমিকে ২০১৬ সালের নিয়োগ পরীক্ষাতেই অনিয়ম হয়েছে বলে প্রমাণ রয়েছে। ওই পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের যে তালিকা পাওয়া গিয়েছে তাতে দেখা গিয়েছে, তফসিলি উপজাতিভুক্ত (সিডিউল ট্রাইব বা এসটি) পরীক্ষার্থীদের তালিকায় ‘মণ্ডল’, ‘মাহাতো’ পদবির পরীক্ষার্থীরা রয়েছেন। মামলাকারীর অভিযোগ, এঁরা তফসিলি উপজাতিভুক্ত নন। তা সত্ত্বেও ওই সংরক্ষণের সুবিধা পেয়েছেন। এ ধরনের অন্তত ৭৫টি ঘটনা রয়েছে বলে জানিয়ে মামলাকারীর আইনজীবী দেবজ্যোতি বসু প্রশ্ন করেছিলেন, কেন এই অনিয়ম হবে? জবাবে রাজ্য তদন্ত শুরু করার কথা বললে হাই কোর্ট ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, কারা তফসিলি জাতি (এসসি) এবং কারা এসটি তালিকার অন্তর্ভুক্ত সে বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দিষ্ট নির্দেশিকা আছে। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘মাহাতো’দের ‘এসটি’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার অনুরোধ করে চিঠিও পাঠিয়েছিলেন কেন্দ্রকে। কিন্তু সেই আর্জি খারিজ হয়ে যায়। হাই কোর্টে সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন মামলাকারী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy