পেটে ব্যথা হতে থাকায় সাত মাসের প্রসূতিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। খানিক বাদে তাঁর বাবার হাতে তুলে দেওয়া হল গর্ভস্থ শিশুর ছিন্ন মাথা।
মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানে অনুপনগর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ঘটনা। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হতে থাকায় প্রসূতিকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকেই মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ‘রেফার’ করে। সেখানেই অস্ত্রোপচার করে শিশুটির মুণ্ডহীন ধড় বের করে আনা হয়।
গোটা ঘটনায় অভিযোগের তির ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক অভিজিৎ দাশগুপ্ত এূবং দুই নার্সের বিরুদ্ধে।
বছর তেইশের ওই প্রসূতির নাম আলোতি বিবি। বাড়ি ঝাড়খণ্ড লাগোয়া সুতির শাহাজাদপুর গ্রামে। স্বামী জাহাঙ্গির শেখ রাজমিস্ত্রি। জাহাঙ্গির জানান, গ্রামের উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়মমাফিক ইঞ্জেকশন দেওয়া ছাড়া আলোতিকে কখনও ডাক্তার দেখানো হয়নি। পেটে ব্যথা হতে থাকায় হাতুড়ের পরামর্শে শুক্রবার বিকেলে আলট্রাসোনোগ্রাফি করাতে ধুলিয়ানে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। পরে ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ডাক্তার দেখাতে যান তাঁরা। আলোতির বাবা বানু শেখের অভিযোগ, ‘‘একটু বাদে ডাক্তারবাবু ও নার্সেরা এসে বলেন, শিশুর মাথা বেরিয়ে এসেছিল। টানতে গিয়ে তা ছিঁড়ে গিয়েছে। মেয়ের অবস্থা খারাপ। তাকে জঙ্গিপুর হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। রক্তাক্ত মাথাটা কাপড়ে মুড়িয়ে আমার হাতে দেন এক নার্স।’’ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অ্যাম্বুল্যান্সে প্রসূতিকে নিয়ে তাঁরা জঙ্গিপুরে যান। জরুরি বিভাগ থেকেই তাঁদের পাঠানো হয় বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে। গভীর রাতে অস্ত্রোপচার করে মৃত শিশুর মুণ্ডহীন ধ়ড় বের করা হয়।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিরুপম বিশ্বাস বলেন, “জেনেছি, শিশুটি আগেই মারা গিয়েছিল। তাই প্রসবের সময়ে এই ঘটনা ঘটেছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy