সারদা গোষ্ঠীর আর্থিক কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হয়ে খাদ্য বর্জন করে আগেও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হওয়া সাংসদ কুণাল ঘোষ। সেই ধারা বজায় রেখে জেলে বসেই আবার অনশন শুরু করেছেন তিনি। তার জেরে বৃহস্পতিবার রাতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে প্রেসিডেন্সি জেলের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে শুক্রবারেও তিনি কিছু খাননি। কারাকর্তারা তাঁকে বারবার বোঝানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু তিনি সাড়া দেননি। বলছেন, “আপনাদের বিরুদ্ধে আমার কোনও অভিযোগ নেই।”
সারদা কেলেঙ্কারিতে মূল অভিযুক্তেরা এখন বাইরে নিশ্চিন্তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন আর তাঁদের জেলে বন্দি করে রাখা হয়েছে, এমন অভিযোগ অনেক দিন ধরেই করে আসছেন কুণাল। ১০ নভেম্বর ওই সাংসদ সরাসরি সিবিআই আদালতে এই অভিযোগ করে জানিয়ে দেন, তিন দিনের মধ্যে প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতার না-করলে তিনি আত্মহত্যা করবেন। তার পরেই, ১৩ নভেম্বর রাতে জেলে নিজের সেলে একসঙ্গে বেশ কিছু ঘুমের বড়ি খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন কুণাল। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করানো হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। তিন দিন পরে হাসপাতাল থেকে ফিরে অনশন শুরু করেন তিনি। কারাকর্তারা বোঝানোর পরে কুণাল অনশন তুলে নেন। তবে তিনি এত ঘুমের বড়ি কোথায় পেয়েছিলেন, তার জবাব মেলেনি।
বুধবার পিজি-র চিকিৎসকদের একটি দল কুণালকে দেখতে গেলে তাঁদের সঙ্গেও অসহযোগিতা করেন তিনি। সেই সময় চিকিৎসকেরা জানান, কুণাল মানসিক অস্থিরতায় ভুগছেন। তাঁর মানসিক চিকিৎসা প্রয়োজন। প্রেসিডেন্সি জেল সূত্রের খবর, সেই পরামর্শ অনুযায়ী আজ, শনিবার আলিপুর জেল থেকে মানসিক চিকিৎসক এসে কুণালের চিকিৎসা শুরু করার কথা।
সারদা কেলেঙ্কারিতে অন্যতম অভিযুক্ত, তৃণমূল সাংসদ সৃঞ্জয় বসুও এ দিন আদালতে হাজির হতে পারেননি। আলিপুরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় বিচারক হারাধন মুখোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, আদালতে হাজির হলেই সৃঞ্জয়ের জামিনের আবেদনের শুনানি হবে। আদালত সূত্রের খবর, সৃঞ্জয়বাবু অসুস্থ। তিন দিন ধরে তিনি এসএসকেএম হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি জেল-হাজতে রয়েছেন। কিন্তু অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এ দিন তাঁকে আদালতে তোলা হয়নি। সৃঞ্জয়ের আইনজীবীরা অসুস্থতার রিপোর্ট আদালতে পেশ করার পরে জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু বিচারক জানান, ওই অভিযুক্তকে আদালতে তোলার পরেই তাঁর জামিনের আবেদনের শুনানি হবে। যে দিন তাঁকে হাজির করানো হবে, জামিনের শুনানি হবে সে দিনই। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, সৃঞ্জয় এখনও জেল হেফাজতেই রয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy