সুকান্ত মজুমদার (বাঁ দিকে) এবং চন্দ্রচূড় গোস্বামী (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানাবেন বলে বিবৃতি প্রকাশ করেছেন অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ সভাপতি চন্দ্রচূড় গোস্বামী। চন্দ্রচূড়ের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে নবান্নের এক বৈঠকে তিনি গিয়েছিলেন। সেই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীকে ‘মাতৃসমা’ও বলেছিলেন তিনি। তা নিয়েই তাঁকে বিদ্রুপ করেছেন সুকান্ত। চন্দ্রচূড়ের দাবি, সুকান্ত তাঁকে ‘মুখ্যমন্ত্রীর পদলেহনকারী’ বলেছেন। সেই অভিযোগ নিয়েই তিনি বুধবার পুলিশের কাছে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
সুকান্ত যদিও বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তিনি বলেন, ‘‘ওই ব্যক্তি নিজেকে একটি সংগঠনের নেতা বলে দাবি করেন। ওই রকম কোনও সংগঠনের অস্তিত্ব পশ্চিমবঙ্গে আছে কি না, এবং থাকলেও উনি তার পদাধিকারী কি না সে সম্পর্কে আমাদের কোনও ধারণা নেই। তাই এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছি না।’’
গত বছর দুর্গাপুজোর সময় গান্ধীজির অবয়বে অসুর বানিয়ে সংবাদ শিরোনামে এসেছিলেন চন্দ্রচূড়। বুধবার একটি বিবৃতি প্রকাশ করে কসবা থানায় যাওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। সেখানে তিনি লেখেন, ‘‘বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানাতে যাচ্ছি।’’ অভিযোগের সবিস্তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি। বিবৃতিতে লিখেছেন, ‘‘অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার আমাদের এ বছরের দুর্গা পুজোর থিম ‘পয়লা বৈশাখ ও পশ্চিমবঙ্গ দিবস’। পুজোর থিমের মাধ্যমেই আমরা সবাইকে জানাতে চাই, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমন্ত্রণে নবান্ন সভাঘরে কেন আমরা ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ হিসেবে পয়লা বৈশাখকে সমর্থন করেছি।’’ চন্দ্রচূড় আরও জানিয়েছেন, তিনি সংবাদমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছেন, অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা সম্পর্কে রাজ্য বিজেপির সভাপতির বয়ান। বিবৃতিতে তিনি লিখেছেন, ‘‘আমাকে আক্রমণ করতে গিয়ে উনি (সুকান্ত) আমাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদলেহনকারী বলেছেন। ওঁকে (মমতা) বলা আমার মাতৃসমা কথাটিকে নিয়ে বা পয়লা বৈশাখকে পুজোর থিম করা নিয়েও বিদ্রুপ করেছেন উনি। অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা সম্পর্কে বলতে গিয়ে যে কদর্য ভাষার প্রয়োগ উনি করেছেন তাতে আমরা মর্মাহত।’’ সে জন্যই আজ ওঁর বিরুদ্ধে আমরা অভিযোগ জানাচ্ছি। ’’
গত ২৯ অগস্ট নবান্ন সভাঘরে একটি বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সর্বদল সেই বৈঠকে বিজেপি যায়নি। তবে গিয়েছিলেন চন্দ্রচূড়। সে দিন মমতাকে ‘মাতৃসমা’ বলে সম্বোধন করেছিলেন তিনি। বিতর্কের সূত্রপাত সেখান থেকেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy