Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
tmcp president

Alia University & TMCP: আলিয়ায় অভিযুক্তকে বহিষ্কার করা হয়েছিল আগেই, বলল তৃণমূল, পাল্টা খোঁচা শুভেন্দুর

তৃণাঙ্কুরের দাবি, ‘আমি এ-ও জানাচ্ছি যে, সেই ঘটনা জানতে পারা মাত্রই আলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ইউনিট দ্রুততার সঙ্গে উপাচার্যকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্থমানে তিনি চিকিৎসাধীন এবং আমরা প্রতিনিয়ত তাঁর খবর রাখছি। এই তৎপরতার জন্য ওখানকার ইউনিটকে আমরা ধন্যবাদ জানাই।’

 

অভিযুক্ত গিয়াসউদ্দিনকে আগেই বহিষ্কার করা হয়েছিল, বলল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।

অভিযুক্ত গিয়াসউদ্দিনকে আগেই বহিষ্কার করা হয়েছিল, বলল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০২২ ১৫:৫৮
Share: Save:

আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিগ্রহে অভিযুক্ত ছাত্রনেতা গিয়াসউদ্দিন মণ্ডলকে দু’বছর আগেই বহিষ্কার করা হয়েছিল। লিখিত বিবৃতি দিয়ে জানাল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। সেই বিবৃতিতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ‘যে ব্যক্তিকে উপাচার্যের উপর আক্রমণ করতে দেখা গিয়েছে, তাঁকে ২০১৮ সালে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনৈতিক কার্যকলাপের জন্য বহিষ্কার করা হয়। পরবর্তী পর্যায়ে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের থেকেও তাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। তখন থেকেই তাঁর সঙ্গে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কোনও রকম সম্পর্ক নেই।’ তিনি আরও জানান, ‘সম্প্রতি আলিয়া নিয়ে একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যম এবং বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে কিছু বহিরাগতকে মাননীয় উপাচার্যের সঙ্গে অশালীন ব্যবহার করতে দেখা গিয়েছে। আমরা তৎক্ষণাৎ সেই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।’ বর্তমানে সংগঠনের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই বলেও দাবি করেছেন তৃণমূলের এই ছাত্রনেতা।

বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমে অভিযুক্ত গিয়াসউদ্দিনকে 'তৃণমূল ছাত্র পরিষদের আলিয়া বিশ্ববিদ্যায়লের ছাত্রনেতা' বলে উল্লেখ করা হয়। সঙ্গে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতির সঙ্গে তাঁর ছবিও নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেই প্রসঙ্গে বিবৃতিতে তৃণাঙ্কুর জানান, ‘বর্তমানে তাঁকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সঙ্গে জড়িয়ে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, আমি তার নিন্দা করছি। আমরা সর্বদা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্থ গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখার পক্ষে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের কাছে আমরা আবেদন জানাই দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে। আবারও এই ঘটনার ধিক্কার জানিয়ে বলে রাখি যে, শিক্ষাক্ষেত্রে কোনও রকম নৈরাজ্য আমরা মানছি না, মানব না।’’

তৃণাঙ্কুরের দাবি, ‘আমি এ-ও জানাচ্ছি যে, সেই ঘটনা জানতে পারা মাত্রই আলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ইউনিট দ্রুততার সঙ্গে উপাচার্যকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্থমানে তিনি চিকিৎসাধীন এবং আমরা প্রতিনিয়ত তাঁর খবর রাখছি। এই তৎপরতার জন্য ওখানকার ইউনিটকে আমরা ধন্যবাদ জানাই।’

তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দাবিকে খারিজ করে টুইট করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি লেখেন, ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা? মোটেও না, তথাকথিত 'বাংলার মেয়ের' শাসনকালে, এটাই এখন বাংলার সংস্কৃতি... উপাচার্যকে ঘেরাও করা, বিক্ষোভ দেখানো, এ রাজ্যে নতুন নয়। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায়শই এমন ছবি দেখা যায়। কিন্তু, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা কার্যত নজিরবিহীন।' পাশাপাশি আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি লিখিত বিবৃতিতে বলেন, ‘ উপাচার্যের ঘরে যে ঘটনা ঘটেছে তা শুধুমাত্র ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কের অবনতি ঘটায়নি, একটি অত্যন্ত জঘন্য দৃষ্টান্ত সমাজের সামনে স্থাপন করলো। আমরা আগেও বলেছি যে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার বিদ্যালয় শিক্ষাব্যবস্থাকে শেষ করে দিয়েছে। বিদ্যালয় পরিচালন কমিটির নির্বাচন সম্পূর্ণভাবে শাসকদলের নিয়ন্ত্রণে।’

আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ঘরে ঢুকে তাঁকে চড় মারার হুমকি দিয়েছিলেন তৃণমূল ছাত্রনেতা গিয়াসুদ্দিন। উপাচার্যের ঘরে রীতিমতো তাণ্ডব করেন গিয়াসুদ্দিন-সহ আরও কয়েক জন যুবক। এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই শিক্ষামহলে নিন্দার ঝড় ওঠে। এর পর রবিবার অভিযুক্ত ছাত্রনেতাকে গ্রেফতার করেছে টেকনো থানার পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

tmcp president TMCP tmcp inter clash
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE