নিজেদের বাড়িতে সরকারি কর্মসূচির আওতায় পাকা শৌচাগার তৈরিতে বাধা দিচ্ছেন, এমন অভিযোগ তুলে উপভোক্তার রেশন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন বিডিও (দুবরাজপুর)।
ওই নির্দেশিকাকে ঘিরে বীরভূমে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। প্রশ্ন উঠেছে, যে কাজ বুঝিয়েই করানো সম্ভব, তার জন্য এমন কঠোর সিদ্ধান্ত কেন। বিডিও বনমালী রায়ের দাবি, প্রকল্প সফল করতে গেলে প্রশাসনকে কড়া হতেই হয়। জেলা প্রশাসনের নির্দেশেই তিনি এই কাজ করেছেন।
ওই ব্লকের অন্তর্গত বালিজুড়ি পঞ্চায়েতের মঙ্গলপুর গ্রামে শৌচাগার বানাতে বাধা দেওয়ার অভিযোগে চারটি পরিবারের বিরুদ্ধে এমন নির্দেশ গিয়েছে ১৭ মার্চ। মঙ্গলপুরের রেশন ডিলারকে দেওয়া ওই নির্দেশনামায় ওই গ্রামের মমতা বাউরি, জয়দেব বাউরি, হারাধন বাউরি এবং বিজয় ধীবরের রেশন বন্ধের কথা বলা হয়েছে। পরে মত পরিবর্তন করায় প্রথম তিন জনের রেশন চালু হয়েছে। তবে, বিজয় এখনও রেশন দোকান থেকে মাল পাচ্ছেন না। যদিও ওই চার জনের দাবি, তাঁরা কেউই বাড়িতে শৌচাগার বানানোর বিরোধিতা করেননি। একটা ভুলবোঝাবুঝি থেকে এমনটা হয়েছে। বিজয়ের বক্তব্য, ‘‘আমি এই প্রকল্পের বিরোধী নই। কিন্তু, যে নিম্নমানের কাজ হচ্ছে, তাতে একটু ঝড় হলে বা হনুমান লাফালেই শৌচাগার ভেঙে পড়বে বলেই আপত্তি করেছি।’’
ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্মল করতে হবে জেলাকে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে মেনে কাজ চলছে প্রতিটি ব্লকে। দুবরাজপুর ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর, এমন অনেকে আছেন, যাঁরা বাড়িতে শৌচাগার থাকলেও ব্যবহার করেন না। কেউ কেউ শৌচাগার বানাতেও বাধা দিচ্ছেন। এমন উপভোক্তাদের জন্যই কড়া পদক্ষেপ করতে হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy