প্রতীকী ছবি।
খেলার কোনও মাঠ নেই। তাই কলকাতাকে কার্যত ৭২ গোলে পিছনে ফেলে এগিয়ে গেল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার স্কুল।
শিক্ষার অধিকার আইন মেনে প্রাথমিক স্তরের স্কুলে খেলার সরঞ্জাম পৌঁছতে উদ্যোগী হয়েছিলেন কলকাতা জেলার শিক্ষা দফতরের কর্তারা। কিন্তু এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে হোঁচট খেতে হচ্ছে কলকাতায়। যার অন্যতম কারণ খেলার মাঠের অভাব। তাই খেলার সরঞ্জাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছে খুদে পড়ুয়ারা। এ দিকে, চলতি বছরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রায় ৭২টি স্কুলে খেলনা ও দোলনা পৌঁছনোর কাজ শুরু করছে জেলা স্কুল পরিদর্শকের দফতর।
২০০৯ সালের শিক্ষার অধিকার আইনে বলা রয়েছে, প্রাথমিক থেকে উচ্চ প্রাথমিক স্তরের স্কুলে খেলার মাঠ এবং সরঞ্জাম থাকা বাধ্যতামূলক। সেই মতো রাজ্যের বহু স্কুলেই এই পরিষেবা পৌঁছনো হয়। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার অধিকার আইনের অধিকাংশ নিয়ম মেনে চলা স্কুলকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হত। গত বছর শহরের এ রকম দশটি স্কুলকে দোলনা, ঢেঁকি ও ফুটবল দেওয়া হয়।
কিন্তু খেলার জায়গা না থাকায়, এ বছর কলকাতার কোনও স্কুল সেই পরিষেবা পাচ্ছে না। আগামী বছরও দেওয়া হবে কি না তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
এই জায়গাতেই এগিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৭২টি স্কুল। তাদের পর্যাপ্ত জায়গা থাকায় এ বছর প্রকল্প অনুযায়ী খেলার সরঞ্জাম পাচ্ছে পড়ুয়ারা।
বিকাশ ভবনের এক কর্তা জানান, স্কুলে খেলাধুলো জনপ্রিয় করে তুলতেই এই প্রয়াস। সে কারণেই অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল বিশ্বকাপে বিভিন্ন জেলা থেকে পড়ুয়াদের সল্টলেকে নিয়ে আসা হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘‘শহরের ভৌগোলিক অবস্থানের জন্য কলকাতায় এমনিতেই জায়গার অভাব। উপায় নেই। তার মধ্যেই যা করার করতে হবে।’’ ২০১৬ সালে সর্বশিক্ষা মিশনের তরফে গোটা রাজ্যে যে সমীক্ষা করা হয়েছিল, সেখানেও কলকাতার স্কুলে খেলার মাঠ না থাকার প্রসঙ্গ বারবার উঠে এসেছিল। কিন্তু এখনও সেই সমস্যার কোনও সমাধান খুঁজে পায়নি রাজ্য সরকার।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার শিক্ষা দফতরের এক কর্তা জানান, পড়ুয়াদের চরিত্র গঠনে সাহায্য করে খেলাধুলো। তাই এই প্রকল্প। দক্ষিণ ২৪ পরগনার স্কুলগুলি খেলার জায়গা দেখাতে পারায় এ বছর তারা সরঞ্জাম পেয়েছে। কলকাতার স্কুলগুলি মূলত জায়গার অভাবেই প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy