Advertisement
১৮ মে ২০২৪

ভোটের পরেও হুমকির অভিযোগ

ছ’মাস পরে ফের দুষ্কৃতীদের হুমকি শুনতে হল হালিশহরের দেবশ্রী সমাজপতিকে। সেই দেবশ্রী, বিধানসভা ভোটের আগের রাতে যাঁর বাড়িতে চড়াও হয়ে সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা হুমকি দিয়েছিল, ভোটের দিন বুথমুখো না-হওয়ার। প্রতিবাদ জানানোয় জুটেছিল মার। রেয়াত করা হয়নি তাঁর আড়াই বছরের মেয়ে সায়ন্তিকাকেও।

দেবশ্রী সমাজপতি

দেবশ্রী সমাজপতি

নিজস্ব সংবাদদাতা
হালিশহর শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০১৬ ০৩:৩২
Share: Save:

ছ’মাস পরে ফের দুষ্কৃতীদের হুমকি শুনতে হল হালিশহরের দেবশ্রী সমাজপতিকে।

সেই দেবশ্রী, বিধানসভা ভোটের আগের রাতে যাঁর বাড়িতে চড়াও হয়ে সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা হুমকি দিয়েছিল, ভোটের দিন বুথমুখো না-হওয়ার। প্রতিবাদ জানানোয় জুটেছিল মার। রেয়াত করা হয়নি তাঁর আড়াই বছরের মেয়ে সায়ন্তিকাকেও। তবু হুমকি উপেক্ষা করে ভোট দিয়ে এসেছিলেন দেবশ্রী। এ বার দশমীর রাতে দাদার সঙ্গে বাড়ি ফেরার সময়ে আগের ঘটনায় দুই অভিযুক্ত তাঁদের ফের প্রাণনাশের হুমকি দেয় বলে বীজপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন দেবশ্রী।

অভিযোগের তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা প্রধান অজয় ঠাকুর।

বিধানসভা ভোটের আগে দেবশ্রীর বাড়িতে হামলা নিয়ে রাজনৈতিক চাপান-উতোর কম হয়নি। গোলমালে নাম জড়িয়েছিল হালিশহর পুরসভার উপ-পুরপ্রধান তৃণমূলের রাজা দত্তের। ধীরে ধীরে সেই চাপান-উতোর থিতিয়েছে। দেবশ্রীর বাড়ি গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করে নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়ে এসেছিলেন এলাকার বিধায়ক শুভ্রাংশু রায় এবং তাঁর বাবা তৃণমূলের সর্বভারতীয়-সহ সভাপতি মুকুল রায়। পুলিশ সেই ঘটনায় অভিযুক্ত চার জনকে গ্রেফতারও করেছিল। পরে তারা জামিন পায়। সেই অভিযুক্তদের মধ্যেই দু’জন দশমীর রাতে দেবশ্রীদের ফের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ।

দেবশ্রী বলেন, ‘‘বাড়ির কাছে রাস্তায় ওরা দাঁড়িয়েছিল। আমরা সেখানে পৌঁছতেই ওরা খুনের হুমকি দিল। আমরা আতঙ্কে রয়েছি।’’ এ বিষয়ে শুক্রবার রাতে শুভ্রাংশুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘ঘটনাটি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

threat miscreants
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE