বিজেপির রাজ্য দফতরে তখন বৈঠকে ব্যস্ত বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর গাড়ি এবং কনভয়ের গাড়িগুলো দাঁড়িয়ে ছিল দফতরের বাইরের রাস্তায়। অভিযোগ, সেই কনভয়ে থাকা একটি গাড়িতেই নাকি ধাক্কা মারে অন্য একটি গাড়ি। ওই গাড়িটি আবার রাজ্য সরকারের!
শুক্রবার বিকেলে রাজ্য দফতের বৈঠক ছিল বিজেপি নেতৃত্বের। সেই বৈঠকে সুকান্ত ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী, রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক লকেট চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পাল, জ্যোতির্ময় মাহাতো, দীপক বর্মণ, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মধ্যে ছিলেন সুনীল বনসল, মঙ্গল পান্ডে এবং অমিত মালবীয়। সেই বৈঠক চলাকালীনই বিজেপির রাজ্য দফতরের সামনে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
জানা গিয়েছে, সুকান্তের কনভয়ের পাইলট গাড়িতে ধাক্কা মারে রাজ্য সরকারের একটি গাড়ি। ওই গাড়িটি ‘নবদিগন্ত ইন্ডাস্ট্রিয়াল টাউনশিপ অথরিটি’র (এনডিআইটিএ)। যখন দুর্ঘটনাটি ঘটে তখন ওই পাইলট গাড়িতে বসে ছিলেন কয়েক জন। ধাক্কা লাগার সঙ্গে সঙ্গেই গাড়ি থেকে নেমে আসেন তাঁরা। ছুটে আসেন সুকান্তের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীরাও।
রাজ্য সরকারের ওই গাড়ি থেকে চালককে নামিয়ে আনা হয়। তাঁকে ঘিরে নানা প্রশ্ন করেন সুকান্তের নিরাপত্তাকর্মীরা। অভিযোগ, তাঁদের সঙ্গে প্রথমে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন ওই চালক। তবে পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে আসে সুকান্তের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর কর্মীরা। চালককে ঘিরে ফেলা হয়। সেই সময় ভুল স্বীকার করেন চালক। জানান, রাস্তার দু’পাশে অনেক গাড়ি ছিল। অপরিসর জায়গার মধ্যে দিয়ে গাড়ি ঘোরাতে গিয়ে ধাক্কা লেগে যায়।
বেশ কিছু ক্ষণ ওই চালককে আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তাঁকে ছেড়ে দেন নিরাপত্তাকর্মীরা। ছাড়া পেয়েই চালক গাড়ি নিয়ে চলে যান নবদিগন্ত ভবনের দিকে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাময়িক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।