গত মাসেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অধ্যাপক সেনের বাড়ি গিয়ে তাঁর নিরাপত্তা বাড়ানোর ঘোষণা করেছিলেন। নিজস্ব ছবি।
জমি বিতর্কের মধ্যে শান্তিনিকেতন ছেড়ে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিলেন অমর্ত্য সেন। তাঁর সুরক্ষায় দেখা গেল জে়ড প্লাস নিরাপত্তা। গত মাসেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অধ্যাপক সেনের বাড়ি গিয়ে তাঁর নিরাপত্তা বাড়ানোর ঘোষণা করেছিলেন। তার পর এই প্রথম বার জেড প্লাস নিরাপত্তা বলয়ে দেখা গেল অর্থনীতিবিদকে। ঘটনাচক্রে, মুখ্যমন্ত্রীও একই পর্যায়ের নিরাপত্তা পান।
রবিবার সকালে জেড প্লাস নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয় অমর্ত্যের ‘প্রতীচী’ বাসভবন। স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র-সহ বহু নিরাপত্তারক্ষী মজুত ছিলেন সেখানে। অধ্যাপক সেন বাড়ি থেকে বেরোলে তাঁকে ‘বুলেটপ্রুফ’ গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিবার সূত্রে খবর, আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি আবার শান্তিনিকেতনে ফিরবেন অমর্ত্য।
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, যাঁর জীবনে ঝুঁকি যতটা বেশি তার উপরে নির্ভর করে তিনি কোন পর্যায়ের নিরাপত্তা পাবেন। বাংলায় রাজ্যের জেড প্লাস নিরাপত্তা এত দিন দু’জন পেয়ে এসেছেন। এক জন হলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা। দ্বিতীয় জন হলেন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই তালিকায় নয়া সংযোজন অমর্ত্য।
জমি দখলের অভিযোগ নিয়ে অমর্ত্য এবং বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মধ্যে সংঘাত চরমে উঠেছে। তার মধ্যেই গত ৩০ জানুয়ারি শান্তিনিকেতনে অধ্যাপক সেনের ‘প্রতীচী’র ঠিকানায় যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা। সেখানে গিয়ে জমি বিবাদে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে তাঁর নিরাপত্তাও বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। মমতা নির্দেশ দেন, অমর্ত্যকে এখন থেকে রাজ্যের তরফে জেড প্লাস নিরাপত্তা দেওয়া হবে।
অধ্যাপক সেন এত দিন ‘ওয়াই’ স্তরের নিরাপত্তা পেয়ে এসেছেন। প্রশাসনিক সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই নিরাপত্তা ব্যবস্থায় এক অফিসার-সহ চার নিরাপত্তারক্ষী থাকতেন। রাস্তায় বার হলে তাঁর গাড়ির আগে থাকত পুলিশের ‘এসকর্ট কার’। সেই নিরাপত্তা বাড়ানো নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণার পর অমর্ত্য বলেছিলেন, ‘‘জেড প্লাস নিরাপত্তা কী, আমি জানিই না। উনি (মমতা) নিশ্চয়ই ভাল কিছু মনে করেছেন। তাই দিয়েছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy