করোনা দেখতে গিয়ে বাংলায় ফাঁকে পড়েছে যক্ষ্মার উপরে নজরদারি। কেন্দ্রের চিঠি বা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বেসরকারি সংস্থার সমীক্ষা নয়। স্বাস্থ্য দফতরের অভ্যন্তরীণ নির্দেশে সে কথা স্বীকার করে নিল স্বাস্থ্যভবন। নির্দেশিকায় সরাসরি উল্লেখ করা না হলেও যক্ষ্মার কারণে কোভিডে অসুস্থতা যে তরান্বিত হয়েছে তা-ও স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে।
রাজ্যে সংক্রমণের গোড়া থেকে কোভিডের উপরে অত্যধিক গুরুত্ব দেওয়ায়, নন-করোনা রোগীর চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে বলে মনে করছিলেন চিকিৎসকদের একাংশ। যক্ষ্মা নিয়ে রাজ্য জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের পর্যবেক্ষণে (এনএইচএম) সেই আশঙ্কা সত্যি হল বলে মনে করা হচ্ছে। একটি নির্দেশিকার প্রথম বাক্যই হল, গত বছরের তুলনায় গত জানুয়ারি থেকে জুলাই যক্ষ্মা রোগের বিজ্ঞপ্তির কাজ ব্যাহত হয়েছে। ছ’মাস অতি মহামারীর নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি অগ্রাধিকারে থাকায় যে তা হয়েছে সেই ইঙ্গিত দিয়ে নির্দেশিকায় যক্ষ্মা রোগ চিহ্নিতকরণ কর্মসূচিতে গুরুত্ব আরোপ করেছেন মিশন অধিকর্তা।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, কোভিড-যক্ষ্মার যুগলবন্দি স্বাস্থ্য ভবনের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, দেশে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে যক্ষ্মা ধরা পড়ার গড় পরিসংখ্যান হল ০.৩৭-৪.৪৭ শতাংশ। যক্ষ্মার উপস্থিতি কোভিডে আক্রান্তের অসুস্থতাকেও দ্বিগুণ করে তুলছে। যার প্রেক্ষিতে সারি (সিভিয়র অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইলনেস) এবং আইএলআই (ইনফ্লুয়েঞ্জা লাইক ইলনেস) রোগীর ক্ষেত্রে যক্ষ্মার পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যক্ষ্মা রোগীর কোভিড পরীক্ষা যেমন হবে তেমন করোনা পজ়িটিভ রোগীদের যক্ষ্মার পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করার কথা বলেছে স্বাস্থ্য দফতর। এ জন্য প্রতিটি কোভিড হাসপাতালে যক্ষ্মা রোগ পরীক্ষার পরিকাঠামো যাতে থাকে, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।