Advertisement
E-Paper

রথযাত্রা নিয়ে দিলীপদের উপরে ক্ষুব্ধ অমিত, প্রশ্ন তাঁর রাজ্যে আসা নিয়েও

রথযাত্রার উদ্বোধন করতে আগামিকাল তাঁর পশ্চিমবঙ্গে যাওয়ার কথা। কিন্তু আদালতের রায়ের পরে সবটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। 

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৩:৪৩
অমিত শাহ। —ফাইল চিত্র।

অমিত শাহ। —ফাইল চিত্র।

রথযাত্রা নিয়ে আদালতের রায়ে দিশাহারা বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। আর তাঁদের উপর ক্ষুব্ধ দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। রথযাত্রার উদ্বোধন করতে আগামিকাল তাঁর পশ্চিমবঙ্গে যাওয়ার কথা। কিন্তু আদালতের রায়ের পরে সবটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

বিজেপির জাতীয় নেতৃত্বের একটি বড় অংশ মনে করছেন, রাজ্য প্রশাসন রথযাত্রার অনুমতি না দেওয়ার পরে রাজনৈতিক ভাবে তার মোকাবিলা না করে আদালতে যাওয়াটা ভুল হয়েছে। এখন রথযাত্রায় অনড় থাকলে এই বলে সমালোচনা হবে যে, আদালতের রায় পছন্দ না হলে বিজেপি তা অমান্য করে। এই পরিস্থিতিতে অমিত শাহের পক্ষে রথযাত্রায় যোগ দেওয়া সম্ভব কি না, সেই প্রশ্নও উঠেছে। বিজেপি সভাপতি ঘনিষ্ঠ মহলে বলেছেন, তিনি সফর বাতিল করতে চান না। আবার বেআইনি কাজ করার পক্ষপাতীও নন। একটি সর্বভারতীয় দলের সর্বোচ্চ পদাধিকারীর এমন কাজ করা অনুচিত বলেই তিনি মনে করেন। বিজেপি সূত্রে আরও বলা হচ্ছে, কেন্দ্রের শাসক দল আদালতকে অবজ্ঞা করছে, এমন বার্তা দেওয়া যায় না। তাই, রাম মন্দির নির্মাণ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলা সত্ত্বেও অধ্যাদেশ জারি করার যে দাবি সঙ্ঘ পরিবার তুলেছে, তাতে প্রকাশ্যে সম্মতি জানায়নি বিজেপি।

এই অবস্থায় চাপে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দলের রাজ্য পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও মুকুল রায় প্রথম থেকেই রথযাত্রার বিরুদ্ধে ছিলেন। মুকুল বলেছিলেন, রাজ্যে রথযাত্রার নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া হতে পারে। তার চেয়ে চার নেতাকে দিয়ে সভা ও পদযাত্রা করা ভাল। ফলে আজকের রায় মুকুল-কৈলাস গোষ্ঠীর হাত যেমন শক্ত করেছে, তেমনই আরও স্পষ্ট করেছে দুই গোষ্ঠীর বিভাজন।

মুখ বাঁচানোর চেষ্টায় দিলীপ এখন যেনতেনপ্রকারে আগামিকাল অমিত শাহকে রাজ্যে নিয়ে যেতে মরিয়া। তাঁর দূত হিসেবে কাজ করছেন অরবিন্দ মেনন। অমিতকে তাঁদের অনুরোধ, সফর যেন একেবারে বাতিল করা না হয়। তাতে রাজ্যে বিজেপির সমূহ ক্ষতি হবে।
বিজেপির একাংশ বলছে, আগামিকাল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি যদি রায়ের উপরে স্থগিতাদেশ দেন, তা হলে দেরি করে হলেও রথযাত্রা শুরু করা যেতে পারে। সেটা না হলে রথযাত্রা বন্ধ রেখে শুধু সভা করা যেতে পারে। কারণ, সভার উপরে কোনও নিষেধাজ্ঞা দেয়নি আদালত। কিন্তু এই কৌশল ঘিরেও মতৈক্য হয়নি। কৈলাস বিজয়বর্গীয় আজই কোচবিহারে বলে দিয়েছেন, রায় না-আসা অবধি সভার কাজও স্থগিত থাকবে।

Amit Shah Dilip Ghosh Rathayatra
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy