বাঙালি মনন ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের অংশীদার হতে কয়েক বছর ধরেই দুর্গা পুজোর উৎসবকে কাজে লাগাতে তৎপর বিজেপি। এ বার বিজেপি-শাসিত নানা রাজ্যে বাংলাভাষী শ্রমিকদের হেনস্থার অভিযোগের মধ্যেই বাংলায় এসে ‘জয় মা দুর্গা’ ও ‘জয় মা কালী’ সম্ভাষণে বাঙালিকে কাছে টানার চেষ্টা করে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পুজোর উদ্বোধনে এর পরে শহরে আসতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিজেপি সূত্রের খবর, সব ঠিক থাকলে চতুর্থীর দিন কলকাতায় এসে কয়েকটি পুজোর উদ্বোধন করতে পারেন তিনি। বাংলায় পুজোর উদ্বোধনে এসে তৃণমূলের ধারাবাহিক আক্রমণের প্রেক্ষিতে শাহ কোনও বার্তা দেন কি না, তা নিয়ে কৌতূহল রয়েছে বিজেপির অন্দরে।
মধ্য কলকাতায় সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোর উদ্বোধন করতে ২০২৩-এ এসেছিলেন শাহ। বিজেপির পুর-প্রতিনিধি সজল ঘোষ ওই পুজোর মুখ্য উদ্যোক্তা। এ বার তাঁদের পুজোর থিম ‘অপারেশন সিঁদুর’। সেই মণ্ডপের উদ্বোধন শাহ করতে পারেন বলে খবর। এ ছাড়া, কালীঘাট ও বিধাননগরেও একটি করে পুজোর উদ্বোধন করতে পারেন শাহ। যেতে পারেন পূর্বাঞ্চলীয় সংস্কৃতি কেন্দ্রে রাজ্য বিজেপির সাংস্কৃতিক শাখা আয়োজিত পুজো-মণ্ডপেও। উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতার আরও বেশ কয়েকটি পুজো কমিটির সঙ্গে ‘বিজেপির ঘনিষ্ঠতা’ বেড়েছে বলে দাবি। চেষ্টা চলছে পুজোয় যে কোনও দিনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্যদের শামিল করানোরও। বাংলার জামাই তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নড্ডা গত দু’বছর সপ্তমীর দিন শোভাবাজার রাজবাড়িতে অঞ্জলি দিয়েছিলেন। এ বছরও তাঁকে আনার চেষ্টা চলছে বলে বিজেপি সূত্রের খবর।
পুজো ঘিরে দলের এই তৎপরতা প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, “আমরা আশাবাদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসবেন। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এখনও দিনক্ষণ চূড়ান্ত করেনি। পুজোর দিনগুলিতে বাংলায় নড্ডা-সহ অন্য মন্ত্রীদের আনার জন্যও কথা চলছে।” যদিও তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের পাল্টা কটাক্ষ, “ওই পুজোর (সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের) উদ্যোক্তা আগে তৃণমূলেই ছিলেন। আর রাজ্যে বিজেপির কোনও পুজোই তো নেই!”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)