• পুরোপুরি বর্ষা নামার আগেই এই পদ্ধতিতে ধান বোনার কাজ শুরু করতে হবে। কারণ জমি কাদা হয়ে গেলে যন্ত্র কাজ করবে না।
• জমি উঁচু-নিচু হলে সমতল করে নিতে হবে। না হলে যন্ত্রে ধান বোনার সময় বীজ সমান ভাবে পড়বে না। ফলে সারিতে সমান ভাবে চারাগাছ জন্মাবে না।
• আগাছামুক্ত জমি একান্ত দরকার। এর জন্য বোনার ৫-৭ দিন আগে গ্লাইফোসেট ( অন্তর্বাহী আগাছানাশক, ৪০০ গ্রাম এআই প্রতি একর) ৫-৬ মিলি প্রতি লিটার জলে (পরিষ্কার জল, ঘোলা হলে কর্মক্ষমতা নষ্ট হয়) অথবা প্যারাকোয়াট (স্পর্শজনিত আগাছানাশক, ০.২ কেজি এআই প্রতি একর) ৪-৫ মিলি প্রতি লিটার জলে মিশিয়ে স্প্রে করুন জমিতে।
• যন্ত্রের পিছনের নির্দিষ্ট জায়গায় পরিমাণ মতো বীজ দিয়ে ৩-৫ সেমি গভীরতায় বুনতে হবে।
• সম্পূর্ণ শুকনো ও দানাদার সার ব্যবহার করা উচিত, যাতে বোনার সময় পাইপের মধ্যে সার না জমে। পরিমাণ—একর প্রতি ৬১ কেজি এনপিকে, ১০-২৬-২৬ দানাদার যৌগিক সার ও ২১ কেজি ইউরিয়া।
• ধান বোনার ঠিক পরে অঙ্কুরোদ্গম পূর্ববর্তী আগাছানাশক স্প্রে করতে হবে। এতে পরবর্তী ২৫-৩০ দিন জমি আগাছামুক্ত থাকবে। ধান বোনার দিন পেনডিমেথালিন ৪০০ গ্রাম এআই অথবা বোনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রেটিলাক্লোর ৩০০ গ্রাম এআই প্রতি একর হারে স্প্রে করা দরকার।
• বীজ বোনার পরবর্তী ৭-১০ দিন যেন জমিতে জল না জমে। বেশি বৃষ্টি হলে জমা জল বার করে দিতে হবে। এর জন্য সুষ্ঠু জলনিকাশি ব্যবস্থা থাকা দরকার। পরবর্তী সময়ে জমিতে হালকা জল (২-৩ সেমি) ধরে রাখতে হবে। তবে জমি শুকনো হলেও চলবে না। ধান চাষে জমিতে পর্যাপ্ত রস থাকাটা জরুরি।
• ধান বোনার এক মাস পরে যদি জমিতে মুখ্য ও চওড়াপাতা আগাছার উপদ্রব হয়, তাহলে ২, ৪ ডি এস্টার বা সোডিয়াম লবণ ২০০ গ্রাম এআই প্রতি একর হারে স্প্রে করতে হবে।
• বীজ বোনার ৩০ দিন পরে এবং কাঁচা থোড় বেরনোর সময় একর প্রতি ১৮ কেজি হারে ইউরিয়া প্রয়োগ করতে হবে। মাটিতে দস্তাজনিত অণুখাদ্যের অভাব থাকলে প্রতি তিন বছর অন্তর ১০ কেজি জিঙ্ক সালফেট প্রতি একরে ধান বোনার সময় দিতে হবে।
• এই পদ্ধতিতে বোনা ধান প্রথাগত পদ্ধতির তুলনায় ৭-১৫ দিন আগে পাকে ও ফসল কাটা যায়। এর ফলে পরবর্তী রবি ফসলের চাষ করার জন্য হাতে ঠিকঠাক সময় পাওয়া যায়।
লেখক বালুরঘাট মহকুমা সহ-কৃষি অধিকর্তা (বিষয়বস্তু)।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy