Advertisement
E-Paper

দাড়িভিটে ক্ষয়ক্ষতি ১২ লাখ টাকা!

আগামী ১৫ নভেম্বর থেকেই মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের টেস্ট শুরুর কথা ওই স্কুলেরও। সেই হিসেবে এ দিন দুপুর থেকেই মাইকিং শুরু করে এলাকা জুড়েই। শুধু টেস্টই নয় মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকের  ছাত্রছাত্রীদের ফর্ম পূরণ, নবম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশনের জন্যই সোমবারই স্কুলে যোগাযোগ করতেও বলা হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০১৮ ০১:৪৩
তচনচ: দাড়িভিট স্কুলের ভিতরে ছড়িয়ে রয়েছে ভাঙচুরের চিহ্ন। নিজস্ব চিত্র

তচনচ: দাড়িভিট স্কুলের ভিতরে ছড়িয়ে রয়েছে ভাঙচুরের চিহ্ন। নিজস্ব চিত্র

দাড়িভিট কাণ্ডে গণ্ডগোলের পরে স্কুলে যে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, আগে থেকেই সে সম্পর্কে একটা ধারণা ছিল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। শনিবার স্কুল খোলানোর পরে সেটা স্পষ্ট হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির একটা প্রাথমিক হিসেবও করা হয়েছে। তাতে অন্তত ১২ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তার মধ্যে মিড-ডে মিলের চাল, আনাজও রয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে স্কুলের প্রচুর বেঞ্চ, চেয়ার, টেবিল, কম্পিউটার, কম্পিউটার টেবিলের মতো সরঞ্জাম। অফিস ঘরের ছ’টি আলমারি, বই রাখার কয়েকটি তাক সবই ভাঙাচোরা অবস্থায় রয়েছে। নষ্ট করা হয়েছে স্কুলের বিদ্যুতের লাইনের একাংশ।

আগামী ১৫ নভেম্বর থেকেই মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের টেস্ট শুরুর কথা ওই স্কুলেরও। সেই হিসেবে এ দিন দুপুর থেকেই মাইকিং শুরু করে এলাকা জুড়েই। শুধু টেস্টই নয় মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্রছাত্রীদের ফর্ম পূরণ, নবম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশনের জন্যই সোমবারই স্কুলে যোগাযোগ করতেও বলা হয়েছে।

ক্ষতির পরিমাণ দেখতে একটি দল তৈরি করেছে প্রশাসন। স্কুলের ক্ষতির পাশাপাশি পরিকাঠামো ঠিক রাখতে, স্কুলের পড়াশোনা সুষ্ঠু ভাবে চালাতে কী কী প্রয়োজন, তার তালিকাও তৈরি হচ্ছে। তা পাঠানো হবে শিক্ষা দফতরেও। শনিবারের পরে রবিবারও স্কুলের সমস্ত কিছুই খতিয়ে দেখা হয়। আজ, সোমবার মহকুমাশাসকের কাছে হিসেব পেশ করার কথা রয়েছে কমিটির সদস্যদের। ইসলামপুরের মহকুমাশাসক মণীশ মিশ্র বলেন, ‘‘স্কুলের আসবাবপত্র-সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী ভাঙচুর হয়েছে। একটি টিম তৈরি করে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব দেখা হচ্ছে।’’ শীঘ্রই তারা সব রিপোর্টে জানাবেন।

খোঁজ: কত ক্ষতি হয়েছে, তার রবিবার হিসেব চলছে দাড়িভিট হাইস্কুলে। নিজস্ব চিত্র

দাড়িভিট কাণ্ডের পরে অবশেষে গত শনিবার খুলেছে স্কুল। পরিকাঠামো কিছুটা ঠিকঠাক করে স্কুল চালু করার চেষ্টা চালাচ্ছেন প্রশাসন এবং স্কুল কর্তৃপক্ষ। দিন কয়েক পর শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষা। গণ্ডগোলের পর শনিবারই প্রথম স্কুলে ঢুকে শিক্ষক-শিক্ষিকারা দেখতে পান বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথি খোয়া গিয়েছে। এমনকী স্কুল চত্বর জুড়েই ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বেঞ্চ, চেয়ার টেবিল, কাগজপত্রও। শিক্ষক-শিক্ষিকারা অনেকেই জানান, এমনিতেই ছাত্রছাত্রীরা বেশি চলে আসলে স্কুলে বসতে দেওয়ার বেঞ্চ থাকে না। নিচু ক্লাসের ছাত্রদের মাটিতে বসিয়েই ক্লাস করতে হয়। তার উপর ভাঙচুর করা হয়েছে অনেক বেঞ্চ। স্কুল সূত্রে খবর, ভাঙচুর করা হয়েছে প্রায় ৩০-৩৫ টির মতো কাঠের চেয়ার, প্রায় ৫০টির মতো টেবিল, প্রায় ২৬টি কম্পিউটার, ৩০টি কম্পিউটার টেবিল, কম্পিউটারে বসার ছোট চেয়ার প্রায় ৫০টির মতো, অফিস ঘরের ছ’টি আলমারি, বই রাখার কয়েকটি তাক। কয়েকটি কম্পিউটার প্রিন্টার, স্কুলের সাউন্ডবক্স, মাইক, হারমোনিয়াম আরও অনেক সামগ্রীও ভাঙা হয়েছে। নষ্ট করা হয়েছে ৪টি ঘরের বিদ্যুতের তারও। প্রায় ৬০টির বেশি ফ্যান। গত প্রায় দু’মাস ধরে স্কুলের মিড ডে মিলের ঘর বন্ধ থাকায় নষ্ট হয়েছে প্রায় ৬ কুইন্টাল চাল, ৫০ কেজির মতো আলু। রান্নার সরঞ্জামও নষ্ট হয়েছে।

ক্ষতির পরিমাণ ১২ লক্ষ টাকারও বেশি হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও এই বিষয়ে কিছুই জানাতে চাননি দায়িত্বে থাকা বাস্তুকার। জেলা স্কুল পরিদর্শক সুজিত কুমার মাইতি বলেন, ‘‘হিসেব চলছে। এখনই পুরো হিসাব হাতে এসে পৌছায়নি।’’ ক্ষতি কয়েক লক্ষাধিক টাকা ছাড়িয়েছে তা স্বীকার করে নেন জেলার স্কুল পরিদর্শক। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অনিল মণ্ডল বলেন, ‘‘ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টা প্রশাসনের আধিকারিকেরা দেখছেন।’’

Damage Loss School Darivit
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy