অনন্ত মহারাজ। ফাইল চিত্র।
অনন্ত মহারাজ ফের দাবি করলেন, কোচবিহার আলাদা রাজ্য হবে। জীবন সিংহের সঙ্গে শান্তি আলোচনা শুরু করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ থেকে কয়েকটি জেলা নিয়ে নতুন রাজ্য গঠনের বিষয়টিও চর্চায় রয়েছে। সেখানে কোচবিহার রাজ্যের প্রসঙ্গও এসেছে। যদিও এই পরিকল্পনার তীব্র বিরোধিতা করেছে কংগ্রেস ও ইউডিএফ। অনন্ত বলেন, ‘‘সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে। বাংলার কোচবিহার বাদে অসমের গোয়ালপাড়া, ধুবুড়ি, চিরাং, কোকরাঝাড় ও দক্ষিণ শালমারা জেলাও কোচ রাজ্যের মধ্যে পড়বে।’’
অনন্তের এই দাবিতে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। প্রথমত, বাংলার সঙ্গে কথা না বলে কী ভাবে কোচবিহারকে আলাদা রাজ্য করা সম্ভব? দ্বিতীয়ত, চিরাং, কোকরাঝাড় বড়ো স্বশাসিত পরিষদের অন্তর্গত। পৃথক বড়োল্যান্ডের দাবি ত্যাগ করে শান্তি চুক্তি করা সব বড়ো সংগঠনের হাত থেকে চিরাং, কোকরাঝাড় কেড়ে নিলে তারা কি আদৌ তা মেনে নেবে?
কংগ্রেস সাংসদ আবদুল খালেক বলেন, ‘‘জনজাতির অধিকারের জন্য কোচ-রাজবংশীরা লড়াই চালাতেই পারেন। কিন্তু অসমকে খণ্ডিত করবেন না।’’ বড়ো সংগঠনগুলি অনন্ত মহারাজের কথার তীব্র বিরোধিতা করে জানিয়েছে, জেলা দূরের কথা, বড়োভূমির এক ইঞ্চি মাটিও তারা নিতে দেবে না। প্রশ্ন, যখন কেএলও-র সঙ্গে শান্তি আলোচনা ও তাদের দাবি নিয়ে কেন্দ্র ও অসম সরকার চুপ, তখন হঠাৎ অনন্ত মহারাজ কেন মুখ খুললেন? ওয়াকিবহাল মহলের মতে, কেন্দ্রের নির্দেশে হাওয়া বুঝে নিতেই অনন্তের মুখ দিয়ে প্রস্তাবিত কোচ রাজ্যের কথা বলানো হয়েছে।
কেএলও প্রধান দিবাকর দেবরাজ সিংহ বলেন, ‘‘কোচরা থেকেই অসম ও বঙ্গের প্রতাপশালী জাতি ছিল। ’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy