E-Paper

প্রার্থী নিয়ে শাসক দলকে কৌশল-বার্তা অনীতদের

রাজ্যের যে আসনগুলি এখনও তৃণমূলের ধরাছোঁয়ার বাইরে, তার মধ্যে দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্র অন্যতম। তবে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক গুরুত্বের কারণে আসনটি নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা শুরু করে দিয়েছেন দলীয় নেতৃত্ব।

রবিশঙ্কর দত্ত

শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৫:২৭
anit thapa.

অনীত থাপা। —ফাইল চিত্র।

দার্জিলিং আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীক থাকুক, নেতারা কম থাকুন— শাসক দলের কাছে এই বার্তাই দিয়েছে গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা। এই মুহূর্তে পাহাড়ে তৃণমূলের একমাত্র বন্ধু মোর্চার তরফে বলা হয়েছে, ‘ঘাসফুল’কে চায়ের দেশে ‘তিন পাত্তি’ হিসেবে তুলে ধরেই এগোতে চায় তারা। অরাজনৈতিক ছাপ আছে, ফের এমন কাউকে প্রার্থী করার কথাও আলোচনা হয়েছে দু’দলের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে।

রাজ্যের যে আসনগুলি এখনও তৃণমূলের ধরাছোঁয়ার বাইরে, তার মধ্যে দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্র অন্যতম। তবে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক গুরুত্বের কারণে আসনটি নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা শুরু করে দিয়েছেন দলীয় নেতৃত্ব। গত নির্বাচনে ৬০% ভোট পেয়ে জয়ী বিজেপির বিরুদ্ধে এ বারের লড়াইও সহজ নয় জেনেই একগুচ্ছ কৌশল নিতে চাইছেন মোর্চার প্রধান অনীত থাপা। পারিবারিক অনুষ্ঠান উপলক্ষে পাহাড়ে আসা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ইতিমধ্যেই প্রার্থী সম্পর্কিত একটি প্রস্তাবও দিয়েছেন তিনি। এই অবস্থান নিয়ে তাঁর ব্যাখ্যা, ‘‘পাহাড়ের রাজনৈতিক বিন্যাস আগের মতো নেই। ফলে, একটু ভেবেচিন্তে এগোতে পারলে এই লড়াই খুব কঠিন নয়।’’

পাহাড়ে তৃণমূলের ভোট প্রায় নেই বললেই চলে। কিন্তু সাম্প্রতিক অতীতে সমতলেও রাজ্যের শাসক দলের অবস্থা ক্রমশ খারাপ হয়েছে। দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভার মধ্যে শিলিগুড়ি, মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি ও ফাঁসিদেওয়া কেন্দ্রে বিধানসভা ভোটেও বিজেপির কাছে সরাসরি হেরেছে তৃণমূল। শুধু সংখ্যালঘু ভোটের জোরে চোপড়ায় তৃণমূল জিতেছে। প্রাথমিক আলোচনায় পাহাড়ের তিনটি বাদ দিয়ে অন্য চারটি আসনেই তৃণমূল নেতাদের মনোযোগ চাইছেন অনীতেরা। যদিও এই চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে দলের খুব উন্নতি হয়েছে বলে এখনও দাবি করতে পারছে না তৃণমূল। বিকল্প না-থাকায় তৃণমূলও ওই পরামর্শকে গুরুত্ব দিচ্ছে। আগেও পাহাড়ে ভাইচুং ভুটিয়ার মতো অরাজনৈতিক প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল। তাতে ফল হয়নি। তবে এ বারেও তাদের সেই পথে থাকতে বলেছে প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা।

তৃণমূল ক্ষমতায় এসেই জিটিএ তৈরি করলেও পাহাড়ের এই স্বশাসিত সংস্থায় প্রশাসনিক ক্ষমতার হস্তান্তর নিয়ে এখনও টানাপড়েন চলছে। নিয়োগের মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে এই টানাপড়েনে বারবার বিরোধ বেঁধেছে নবান্ন ও জিটিএ-র মধ্যে। সাম্প্রতিক সফরে মুখ্যমন্ত্রী আঞ্চলিক স্কুল সার্ভিস কমিশনের সক্রিয়তার কথা ঘোষণা করে শিক্ষক নিয়োগের যে সম্ভাবনা দেখিয়েছেন, তার পিছনেও ভোট-পরামর্শ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Anit Thapa TMC Mamata Banerjee

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy