Advertisement
E-Paper

ডেঙ্গি-জ্বরে মৃত আরও ছয়

দক্ষিণ কলকাতার বিদ্যাসাগর কলোনির বাসিন্দা সেরিব্রাল পলসি আক্রান্ত শুভজিৎ মজুমদার (৩৬) রবিবার সকালে কেপিসি হাসপাতালে মারা যান। ৩১ অক্টোবর জ্বর এবং বমির উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। মৃতের পরিবার জানান, রক্তের নমুনা পরীক্ষায় এনএস ১ পজিটিভ ছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৭ ০৪:১৮
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

রাজ্যে আরও দু’জন ডেঙ্গিতে এবং চার জন জ্বরে মারা যাওয়ার খবর মিলেছে।

দক্ষিণ কলকাতার বিদ্যাসাগর কলোনির বাসিন্দা সেরিব্রাল পলসি আক্রান্ত শুভজিৎ মজুমদার (৩৬) রবিবার সকালে কেপিসি হাসপাতালে মারা যান। ৩১ অক্টোবর জ্বর এবং বমির উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। মৃতের পরিবার জানান, রক্তের নমুনা পরীক্ষায় এনএস ১ পজিটিভ ছিল। হাসপাতাল ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গি উল্লেখ করতে চাননি বলে অভিযোগ মৃতের বাবা সুকুমার মজুমদারের। হাসপাতাল কর্মীদের সঙ্গে বচসার পরে তিনি আদালতে দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানানোয় ডেথ সার্টিফিকেটে এনএস ১ পজিটিভ উল্লেখ করা হয়।

তেঘরিয়ার তুলি নস্কর (৩৫) ডেঙ্গির উপসর্গ নিয়ে মঙ্গলবার স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার এক দিনের মধ্যে প্লেটলেট নেমে যায় ১০ হাজারে, জানান তুলির পরিবার। বৃহস্পতিবার তাঁকে সল্টলেকের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার রাতে তিনি মারা যান।

শুক্রবারে জোকার ইএসআই হাসপাতালে ভর্তি হন বজবজের বক্সীপাড়ার মমতা চট্টোপাধ্যায় (২৮)। সে রাতেই তিনি মারা যান। হাসপাতাল সূত্রের খবর, মৃতার ডেঙ্গির উপসর্গ ছিল। যদিও ডেথ সার্টিফেকেটে লেখা হয়েছে,
জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সেপ্টিসেমিয়ার কারণে তিনি মারা গিয়েছেন।

কলকাতা ও তার আশপাশের এলাকার সঙ্গে ডেঙ্গির প্রকোপ একই রকম রয়েছে জেলাতে। রবিবার সকালে হুগলির জাঙ্গিপাড়ার কোত্তলপুর পঞ্চায়েতের প্রসাদপুর এলাকার বাসিন্দা মিতালি নন্দী (৪৪) ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। মৃত্যুর কারণ হিসাবে ডেথ সার্টিফিকেটে সে কথা উল্লেখ রয়েছে।

মিতালিদেবীর পরিবার জানায়, শুক্রবার মিতালিদেবীকে জাঙ্গিপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ওই দিন বিকালে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ‘রেফার’ করে দেওয়া হলে তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। মৃতার ননদ মাধবী রানা জানান, গ্রামীণ হাসপাতালের রক্ত পরীক্ষার রিপোর্টে প্লেটলেট ৭৫ হাজারে নেমে যাওয়ার উল্লেখ থাকলেও ডেঙ্গির উল্লেখ ছিল না। কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে রক্তের রিপোর্টে অবশ্য ডেঙ্গি ধরা পড়ে।

রিষড়ার লিপি চট্টোপাধ্যায় (৫০) জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন কয়েক দিন ধরে। এ দিন শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি মারা যান। বীরভূমের নলহাটির শীতলগ্রামের দীপিকা কোনাই (১৯) জ্বরে মারা যান বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ডেঙ্গির উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হলেও হাসপাতাল জানিয়েছে অজানা জ্বরে মারা গিয়েছেন দীপিকা।

Dengue Mosquitoes ডেঙ্গি
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy