অনুব্রত মণ্ডল। নিজস্ব চিত্র
সিউড়ি বাসস্ট্যাণ্ড থেকে শুক্রবার তৃণমূলের উদ্দেশ্য হুঁশিয়ারি দিয়েছিল বিজেপি। ২৪ ঘন্টা যেতে না যেতেই শুক্রবার বিকালে সেই একই জায়গা থেকে, পাল্টা হুমকিতে বিজেপিকে বিঁধলেন তৃণমূল জেলাসভাপতি অনুব্রত মণ্ডল— ‘‘আর ঢাক নয়, জয় ঢাক বাজান। মাথা থেকে পা পর্যন্ত। আওয়াজ হবে দড়াম দড়াম। প্রয়োজনে আজ থেকেই।’’
বৃহস্পতিবার পাহাড়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ-সহ দলীয় নেতৃত্বের নিগ্রহকে ঘিরে কুশপুতুল রাজনীতিতে সরগরম ছিল রাজ্য। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির বিক্ষোভ অবরোধ চলেছে। মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুতুল পোড়ানোর পাল্টা তৃণমূলের এ দিন নরেন্দ্র মোদীর কুশ পুতুল পোড়ানোর কর্মসূচি ছিল। সিউড়ি বাসস্ট্যাণ্ডে দাঁড়িয়ে বিজেপি জেলাসভাপতির বক্তব্য ছিল, এভাবে দিনের পর দিন যদি হামলা হয়, আর প্রশাসন নিষ্ক্রিয় থাকে, তাহলে বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা নিজেদের অত্মরক্ষায় অস্ত্র তুলে নিতে বাধ্য হবেন। প্রশাসন সঠিক ভূমিকা না নিলে জেলায় আগুন জ্বলবে। তার জন্য দায়ী থাকেব প্রশাসন ও তৃণমূল সরকার। এখানেই না থেমে ওই বিজেপি নেতার সংযোজন ছিল, আমাদের দুর্বল ভাবার কোনও কারণ নেই, শান্তি চাই, তাই চুপ করে আছি। তবে এমন আক্রমণের ঘটনা চলতে থাকলে, হামান দিস্তায় যেমন আদা পেষাই করা হয়, ঠিক সেভাবেই তৃণমূল কর্মীদের পিষে ফেলতে তৈরি বিজেপি। এর পরই বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সিউড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করে তৃণমূল।
নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের কুশপুতুল পোড়ানো হয়। মঞ্চ থেকে দার্জিলিংয়ে গিয়ে রাজ্য অস্থিরতা তৈরি চেষ্টা থেকে বিজেপি কীভাবে রাজ্যকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে সেকথা তুলে বিজেপিকে চূড়ান্ত আক্রমণ করেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে নজর ছিল, তৃণমূলের জেলাসভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ঠিক কী ভাষায় বিজেপিকে আক্রমণ করেন সেদিকে। অনুব্রতর বক্তব্য উপস্থিত ভিড়কে হতাশ করেনি।
শান্ত রাজ্যকে অশান্ত করার দায় বিজেপির উপর চাপিয়ে অনুব্রতর পাল্টা হুমকি ১৮-র পঞ্চায়েত, ১৯শের লোকসভা। তিনি বলেন, ‘‘চড়াম চড়াম ঢাক না বাজিয়ে, এবার জয় ঢাক বাজান। একধার থেকে জয় ঢাকা বাজান। কোনও অসুবিধা নাই। ওরা যে ভাষা বোঝেন সেই ভাষায় বুঝিয়ে দেব।’’ অনুব্রতর হুমকির অবশ্য জবাব দিয়েছেন বিজেপির জেলাসভাপতি রামকৃষ্ণ রায়। তিনি বলেন, ‘‘উনি এমনটা বলে থাকলে তার উত্তরে বলি বিজেপি কর্মীরাও ঢাক, জয়ঢাক বাজাতে জানে। সময় বলবে কোন পক্ষের বাজনার আওয়াজ বেশি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy