ইস্তফা: রূপালি বসু। ফাইল চিত্র
পরিস্থিতি আপাতত সামাল দেওয়ার চেষ্টা শুরু করে দিল অ্যাপোলো হাসপাতাল। পূর্বাঞ্চলের অধিকর্তা পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন রূপালি বসু।
২২ তারিখ বৈঠকে অ্যাপোলোর বিরুদ্ধে লোক ঠকানোর অভিযোগ এনেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ডানকুনির সঞ্জয় রায়ের মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষোভ বাড়ছিল। এই যৌথ চাপ ঠেকাতে তিন দিন আগেই চেন্নাই এবং হায়দরাবাদ থেকে অ্যাপোলো গোষ্ঠীর শীর্ষ কর্তারা ছুটে এসেছিলেন কলকাতায়। বুধবার ম্যানেজিং ডিরেক্টর পৃথা রেড্ডি ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলেন। এর পর থেকেই গোটা হাসপাতাল জুড়ে একটা বদলের ইঙ্গিত পাচ্ছিলেন ডাক্তাররা।
আরও পড়ুন: সঞ্জয়ের মৃত্যুর তথ্য নিল পুলিশ
এ দিন সকালে ডাক্তারদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বার্তা পাঠিয়ে রূপালি সকলকে হাসপাতালের পাশে থাকার অনুরোধ জানান। চিকিৎসক মহলে বিভ্রান্তি তৈরি হয়, তা হলে কি সব একই রকম থাকছে? কিন্তু ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই রূপালির পদত্যাগপত্র পৌঁছয়। ব্যক্তিগত কারণে ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে বিদেশে রয়েছেন রূপালি। শনিবার তাঁর শহরে ফেরার কথা। গত দু’ দিন রূপালির সঙ্গে ফোনে একাধিক বার কথা হয় পৃথার। এ দিন সকালে বিদেশ থেকেই পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন রূপালি। অ্যাপোলোর দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি বর্তমানে অ্যাসোসিয়েশন অব হসপিটালস অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট এবং ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কর্মাসের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারপার্সন তিনি। এ দিন একাধিক বার ফোন এবং এসএমএস করেও তাঁর প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। তবে রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তাদের বড় অংশের মতে, রোগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের যে অভিযোগ উঠেছে, তা সত্যি হলে তার জন্য একা রূপালি দায়ী হতে পারেন না। শীর্ষ কর্তারা কিছু জানতেন না, এমন হওয়া কঠিন।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, আপাতত দক্ষিণ ভারতের অধিকর্তা এন সত্যভামা পূর্বাঞ্চলের দায়িত্ব সামলাবেন। কলকাতার দায়িত্বে সিইও রাণা দাশগুপ্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy