Advertisement
E-Paper

ফের ‘তিরে’ অ্যাপোলো

ফের চিকিৎসায় গাফিলতি ও তোলাবাজির অভিযোগ। কাঠগড়ায় সেই অ্যাপোলো হাসপাতাল।ডানকুনির বাসিন্দা সঞ্জয় রায়ের পরিবারের পরে এ বার অ্যাপোলো হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন বেলেঘাটার বাসিন্দা তরুণী শতাব্দী চক্রবর্তীর পরিবার।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৭ ০০:৪৭

ফের চিকিৎসায় গাফিলতি ও তোলাবাজির অভিযোগ। কাঠগড়ায় সেই অ্যাপোলো হাসপাতাল।

ডানকুনির বাসিন্দা সঞ্জয় রায়ের পরিবারের পরে এ বার অ্যাপোলো হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন বেলেঘাটার বাসিন্দা তরুণী শতাব্দী চক্রবর্তীর পরিবার। শনিবার তাঁরা ফুলবাগান থানায় অ্যাপোলোর বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির পাশাপাশি প্যান কার্ড আটকে রেখে তোলাবাজির অভিযোগ দায়ের করেন।

পুলিশ সূত্রের খবর, ১ ফেব্রুয়ারি রাতে বেলেঘাটা সুভাষ সরোবরের কাছে দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন শতাব্দী চক্রবর্তী। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, সেই রাতে দুর্ঘটনার পরে অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করানোর সময়ে মোটা টাকা দাবি করে। পরে ফুলবাগান থানার এক অফিসারের সূত্র ধরে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়। শতাব্দীর বাবা সঞ্জীবকুমার চক্রবর্তীর অভিযোগ, ‘‘গাড়ি দুর্ঘটনায় মেয়ের ডান পায়ের হাঁটুর নীচের অবস্থা গুরুতর হয়। ভর্তির পর থেকেই অ্যাপোলোর তরফে বলা হয়, এক লক্ষ টাকা না দিলে অস্ত্রোপচার হবে না। আমরা সেই টাকা সংগ্রহ করে জমা দিলেও অপারেশন হয় ভর্তির ১৬ ঘণ্টা পরে।’’ কিন্তু তাতেও শতাব্দীর শারীরিক অবস্থার বিশেষ উন্নতি হয়নি বলে জানায় তাঁর পরিবার। ৭ ফেব্রুয়ারি শতাব্দীর বিল দাঁড়ায় ছ’লক্ষ টাকা। বিশাল বিলের বহরে শতাব্দীকে অ্যাপোলো থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেন তাঁর পরিজনেরা। ৭ তারিখ রাতে তাঁকে বাইপাসের ধারে অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে শতাব্দী সেখানেই চিকিৎসাধীন। সেখানে অস্ত্রোপচার করে তাঁর ডান পায়ের হাঁটুর নীচের অংশ বাদ বাদ দিতে হয়েছে।

কম্পিউটার সায়েন্সে বি টেক উত্তীর্ণ একমাত্র মেয়ের পা কেটে বাদ যাওয়ায় অ্যাপোলোর বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি দাবি করেন সঞ্জীববাবু। তাঁর অভিযোগ, ‘‘অ্যাপোলো কর্তৃপক্ষের গাফিলতির জন্যই মেয়ের পা কেটে বাদ দিতে হল। ভর্তির পরেই চিকিৎসা শুরু করলে এই দশা হতো না।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, ৭ তারিখে শতাব্দীকে অ্যাপোলো থেকে ছাড়িয়ে আনার সময়ে বকেয়া ছ’লক্ষ টাকা পুরোটাই চেকে দিয়েছিলেন। সঞ্জীববাবুর অভিযোগ, ‘‘৬ লক্ষ টাকার চেক দিলে ওরা নিতে অস্বীকার করে। শেষমেশ আমার পরিবারের এক সদস্যের একটি প্যান কার্ড বন্ধক রেখে মেয়েকে অ্যাপোলো থেকে ছাড়িয়ে আনি।’’ বিষয়টি নিয়ে অ্যাপোলোর এক শীর্ষ কর্তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা হলে তাঁর ফোন বেজে যায়। এসএমএসেরও জবাব মেলেনি।

Apollo Hospital
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy