সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সের মূল ফটক বন্ধ। সামনের রাস্তার উপরে বসে বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার সোনালি গুহ এবং রাজ্যের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত আইন প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য! তাঁদের নেতৃত্বে ধর্না-অবস্থান চালাচ্ছেন তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের শ’খানেক কর্মী-সমর্থক। পুলিশে ঘেরা জমায়েত থেকেই মাইকে বারবার সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে স্লোগান উঠছে।
সিবিআইয়ের আঞ্চলিক দফতরের সামনে বৃহস্পতিবারের এই দৃশ্য চাঞ্চল্য তৈরি করেছে রাজ্য রাজনীতি এবং পরিষদীয় জগতে! ডেপুটি স্পিকারের মতো সাংবিধানিক পদে থেকে কেউ দলীয় বিক্ষোভে এ ভাবে অংশ নিতে পারেন? সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সংস্থা যে তদন্ত করছে, তার বিরুদ্ধে আইনমন্ত্রীই বা কী করে রাস্তায় নামেন? বিরোধী নেতারা নৈতিকতার প্রশ্ন তুলছেন। রাজ্যের প্রাক্তন এক স্পিকার বলছেন, নৈতিকতা তো বটেই, সাংবিধানিক দায়িত্বের বিচারেও এমন কাজ করা যায় না!
তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য এখানে রাজনৈতিক সত্তাকে টেনে আনছেন। চন্দ্রিমাদেবীর ব্যাখ্যা, তিনি যেমন আইনমন্ত্রী, তেমনই দলের মহিলা সংগঠনের নেত্রীও। মহিলা তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী হিসাবেই তিনি বিক্ষোভ দেখাতে গিয়েছেন। সিবিআইয়ের রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের দিকে আঙুল তুলে আইনমন্ত্রীর বক্তব্য, “সিবিআই যন্ত্র, নরেন্দ্র মোদী যন্ত্রী।” তাঁর অভিযোগ, শুধু বেছে বেছে তৃণমূল নেতাদেরই গ্রেফতার-জেরা করা হচ্ছে। কিন্তু তা বলে আইনমন্ত্রী হয়েও এ ভাবে প্রতিবাদ? চন্দ্রিমাদেবী বলছেন, “এই আন্দোলনই বাংলা চেনে। আমরা এ ভাবেই আন্দোলন করে যাব!”