Advertisement
E-Paper

রানাঘাট-কাণ্ডের জেরে থানা বদল

পুলিশি-ভূগোলে ছাপ ফেলল রানাঘাট-কাণ্ড। শুক্রবার ১২ কিলোমিটার দূরের গাংনাপুর নয়, দু’কিলোমিটার দূরের রানাঘাট থানার আওতায় আনা হল বৈদ্যপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতকে। ১৩ মার্চ রাতে ওই এলাকারই কনভেন্ট স্কুলে ডাকাতি ও স্কুলের সত্তরোর্ধ্ব এক সন্ন্যাসিনীকে ধর্ষণের ঘটনায় হইচই পড়েছিল দেশ জুড়ে। জল গড়িয়েছিল সুদূর রোম পর্যন্ত। সে সময় এলাকাবাসীর একাংশ প্রকাশ্যেই বলেছিলেন, থানার সীমানা নিয়ে জেলা পুলিশ চুলচেরা বিশ্লেষণে ব্যস্ত থাকে বলেই সুযোগ নেয় দুষ্কৃতীরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ মে ২০১৫ ০১:৫৪

পুলিশি-ভূগোলে ছাপ ফেলল রানাঘাট-কাণ্ড। শুক্রবার ১২ কিলোমিটার দূরের গাংনাপুর নয়, দু’কিলোমিটার দূরের রানাঘাট থানার আওতায় আনা হল বৈদ্যপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতকে।

১৩ মার্চ রাতে ওই এলাকারই কনভেন্ট স্কুলে ডাকাতি ও স্কুলের সত্তরোর্ধ্ব এক সন্ন্যাসিনীকে ধর্ষণের ঘটনায় হইচই পড়েছিল দেশ জুড়ে। জল গড়িয়েছিল সুদূর রোম পর্যন্ত। সে সময় এলাকাবাসীর একাংশ প্রকাশ্যেই বলেছিলেন, থানার সীমানা নিয়ে জেলা পুলিশ চুলচেরা বিশ্লেষণে ব্যস্ত থাকে বলেই সুযোগ নেয় দুষ্কৃতীরা। সেই সূত্রেই শুরু হয় প্রশাসনের নড়াচড়া।

বৈদ্যপুর-২ পঞ্চায়েত এলাকার বহু পরিবারের পুরুষেরা কর্মসূত্রে ভিন্‌ রাজ্যে বা বিদেশে থাকেন। দুই থানার সীমানা এলাকায় জাতীয় সড়ক এবং রেল লাইন থাকায়, সেখানে দুষ্কৃতীদের নিয়মিত আনাগোনাও রয়েছে। তাই স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি ছিল, গাংনাপুর নয় রানাঘাট থানার আওতায় আনা হোক তাদের এলাকা। রানাঘাট-কাণ্ডের পরে সে দাবি জোরালো হয়। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সে মর্মে রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতর তথা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়। মুখ্যমন্ত্রী সেই প্রস্তাবে সম্মতি দেন। এ দিন রানাঘাটের ‘চেতনা হল’-এ এক অনুষ্ঠানে সরকারি ভাবে এলাকা বদলের কথা ঘোষণা করেন জেলার পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রানাঘাটের ওই স্কুলের অধ্যক্ষ সিস্টার শান্তি।

পুলিশ সুপার এ দিন মেনে নেন, ‘‘যবে থেকে (বছর ছ’য়েক আগে গাংনাপুর থানা তৈরি হওয়ার পরে) এই পঞ্চায়েত এলাকা গাংনাপুর থানার আওতায় গিয়েছে, তবে থেকে ওই এলাকায় কাজ করার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছিল।’’

রাজ্য পুলিশের কর্তারা জানিয়েছেন, বিধি অনুযায়ী, যে কোনও থানাই অভিযোগ নিতে বাধ্য। আওতাধীন এলাকায় ঘটনা না ঘটলে পরে সে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট থানায় পাঠিয়ে দেওয়াটাই দস্তুর। রানাঘাট-গাংনাপুরের ক্ষেত্রেও তেমনটাই হওয়া উচিত ছিল। তবে এলাকাবাসীর একটা বড় অংশের অভিজ্ঞতা তেমনটা নয়।

প্রশাসনের ঘোষণা শুনে স্থানীয় বাসিন্দা কাকলি বিশ্বাস, স্টিভেন মণ্ডলদের বক্তব্য, ‘‘আশা করি, এর পরে আর থানায় অভিযোগ জানানোর সমস্যা বা পুলিশকে হাতের কাছে না পাওয়ার অভিযোগ থাকবে না।’’

তিনিও কি তেমন ভাবেন? সিস্টার শান্তির জবাব, ‘‘এখন এলাকার মানুষ দ্রুত পুলিশের সাহায্য চাইতে পারবেন। পুলিশও দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারবে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘থানা কাছে এল, ভাল কথা। তবে মানুষকে যেন তেমন বিপদে পড়ে থানায় যেতে না হয়, সেটাও চাইব।’’

Ranaghat Area distribution nun rape case police station
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy