Advertisement
E-Paper

ধৃত সঙ্গী, অবরোধ অর্জুনের

রবিবার তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষে উত্তাল হয় হালিশহরের হলদেঘাটা এলাকা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০২০ ০৩:৩১
বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ। —ফাইল চিত্র।

বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ। —ফাইল চিত্র।

বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহের কনভয়ের একটি গাড়ি থেকে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা নিয়ে শুক্রবার বিকেলে তুলকালাম বাধল ব্যারাকপুরের চিড়িয়া মোড়ে। অভিযুক্তকে ধরার পরে দলবল নিয়ে রাস্তাতেই বসে পড়েন অর্জুন। পুলিশ রোহন (বিট্টু) জয়সওয়াল নামের হালিশহরের ওই বিজেপি নেতার গ্রেফতারের নথি না-দেওয়া পর্যন্ত দীর্ঘক্ষণ রাস্তায় বসে থাকেন তিনি। ফলে যানজট তৈরি হয়।

রবিবার তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষে উত্তাল হয় হালিশহরের হলদেঘাটা এলাকা। অর্জুন এবং তাঁর নিরাপত্তারক্ষীদের তিনটি গাড়ি ভাঙচুর হয়। জ্বালানো হয় কয়েকটি বাইক। তৃণমূল নেতা সুবোধ অধিকারীরও গাড়ি ভাঙচুর হয়। যুব তৃণমূলের একটি পার্টি অফিসে আগুন ধরানো হয়। ওই ঘটনায় ধৃত ১৩ জন শুক্রবার ব্যারাকপুর আদালতে জামিন পান। বিকেলে তাঁদের নিয়ে এলাকায় ফিরছিলেন অর্জুন।

অর্জুনের অভিযোগ, চিড়িয়ামোড়ে, সাদা পোশাকের পুলিশ নিজেদের গাড়ি সামনে দাঁড় করিয়ে তাঁদের রাস্তা রুখে দেয়। সাংসদ-সহ সকলকে গাড়ি থেকে নামানো হয়। তাঁর গাড়ির পিছনের গাড়িতে ছিলেন বিট্টু। পুলিশ তাকে টেনে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। অর্জুন বলেন, “ব্যারাকপুর কমিশনারেটের ডিসিপি (সাউথ) অজয় ঠাকুর তৃণমূল সভাপতির মতো আচরণ করছেন। তিনি আমাকে হেনস্থা করার জন্য বিট্টুকে গ্রেফতারের নাটক করছেন। বিট্টুর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই।”

অজয় ঠাকুর বলেন, “পুলিশ পুলিশের কাজ করছে। বিট্টুর বিরুদ্ধে তিনটি মামলা ছিল। দু’টি মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন। একটি মামলায় পাননি। সেই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। সেই নথি যথাসময়ে তাঁর আইনজীবীর হাতে তুলেও দেওয়া হয়েছে।” ব্যারাকপুরের প্রশাসক মণ্ডলির চেয়ারম্যান, তৃণমূল নেতা উত্তম দাস বলেন, “এক জন সাংসদ দাগিদের নিয়ে ঘোরাফেরা করলে তো পুলিশ তাকে ধরবেই।”

Arjun Singh BJP
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy