ফাইল চিত্র।
আরাবুল বাহিনীর বিরুদ্ধে ভাঙড়ের আন্দোলনকারীদের গ্রামে লাগাতার বোমা ও গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল। টানা কয়েক দিন ধরেই আন্দোলনকারীদের গ্রাম মাছিভাঙা ও খামারআইট গ্রামে হামলা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। আন্দোলনকারীদের মধ্যে কয়েক জন স্থানীয় নেতার বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। তাঁদের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। আন্দোলনকারীদের কোণঠাসা করার পরিকল্পনায় পুলিশি মদত রয়েছে বলেও অভিযোগ উঠছে। ওই এলাকায় বহিরাগতেরা বোমা ও গুলি নিয়ে দিনরাত ঘোরাফেরা করছে। অবিলম্বে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আনলে শাসক দল ও সরকারের বিরুদ্ধে বড়সড় প্রতিবাদ হবে বলে জানিয়ে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠিয়েছেন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী।
পাওয়ার গ্রিড বিরোধী আন্দোলনের জেরে জানুয়ারি মাসে পুলিশের উপরে হামলা চালানো হয়েছিল। তার পর থেকেই পুলিশ আর আন্দোলনকারীদের গ্রামে ঢোকে না। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের বক্তব্য, ওই সুযোগ নিয়েই বহিরাগতেরা বোমা-গুলি চালিয়ে সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে। জেলা পুলিশের এক কর্তার কথায়, ‘‘ওই গ্রামগুলিতে অস্ত্র মজুত রয়েছে। আন্দোলনকারীদের তরফে বহিরাগতদের হামলার বিষয়ে নিদিষ্ট কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তা ছাড়া, শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার প্রয়োজনে ওই সব এলাকায় পুলিশি অভিযান করা হচ্ছে না।’’
ভাঙড়ে যে ভাবে লাগাতার দুষ্কৃতী হামলা চালানো হচ্ছে, সেই অভিযোগ জানাতে এ দিন দফায় দফায় মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজি-র সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন সুজনবাবু এবং সিপিএমের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক শমীক লাহি়ড়ী। কিন্তু তাঁদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী বাইরে থাকায় প্রশাসনিক আধিকারিকদের কেউ কথা বলার সাহস দেখাচ্ছেন না! সুজনবাবু বলেন, ‘‘তৃণমূলের তাজা নেতার নেতৃত্বে কী ভাবে সশস্ত্র বাহিনী ভাঙড়ে দাপিয়ে বে়ড়াচ্ছে, তার ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতেও এসেছে। গ্রামবাসীরা আলোচনা চেয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীও বলেছিলেন আলোচনা হবে। সে সব কোনও কিছুকেই মান্যতা দেওয়া হল না। গরিব, সংখ্যালঘু এলাকায় সশস্ত্র আক্রমণ চালাচ্ছে মস্তান বাহিনী!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy