শুনানি পর্বের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত রাখতে রাজ্যের উপরেই প্রাথমিক ভরসা রাখছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। শনিবার সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, ১৬ ডিসেম্বর খসড়া প্রকাশের চার দিন পর থেকে নোটিস পেতে শুরু করবেন তালিকাভুক্ত ভোটারেরা। সেই পর্বে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থায় আপাতত রাজ্য পুলিশের উপরেই ভরসা রাখা হচ্ছে। তবে জেলাশাসকেরা যদি মনে করেন, পরিস্থিতির গভীরতা ভিন্ন, তবে তাঁরা রাজ্য সরকারকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সুপারিশ পাঠাতে পারেন। রাজ্যকেই তা চেয়ে পাঠাতে হবে।
আধিকারিকদের মতে, আইনশৃঙ্খলা যেহেতু রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত, তাই এই ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। তবে পরিস্থিতি অনুযায়ী রাজ্য পদক্ষেপ বা সহযোগিতা না করলে তখন কমিশন নিরাপত্তার জন্য পদক্ষেপ করতে পারে। কারণ, আদালত ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দায়িত্ব রাজ্য এবং কমিশনের। অন্য দিকে, গত ১১ ডিসেম্বর মধ্যরাতে এনুমারেশন পর্ব শেষ হওয়ার পরে এখন প্রায় ১.৬৭ কোটি ভোটারের তথ্যের পুনর্যাচাই চলছে। তার দু’দিনের মাথায়, শনিবার সব জেলাশাসকদের উদ্দেশে কমিশন জানিয়েছে, কমিশনের তথ্যপ্রযুক্তি শাখা যেগুলি চিহ্নিত করেছে, সেগুলি বিএলও, বিএলও সুপারভাইজার এবং সহকারী ইআরও-রা খতিয়ে দেখে সব নথি স্ক্যান এবং আপলোড করবেন নির্দিষ্ট অ্যাপে। গোটা ব্যবস্থার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইআরও-দের। কোনও ভ্রান্তি থাকলে এর মধ্যেই তা সংশোধন অথবা ‘আন-ম্যাপ’ তালিকাভুক্ত করতে হবে। এই সংশোধন পর্বের পরেও কোনও ত্রুটি থেকে গেলে কমিশন তা বরদাস্ত করবে না।
কমিশনের নির্দেশ, ভোট ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যের সব গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলিতে নাকা-নজরদারি চালু করতে হবে। রাজ্য-কলকাতা পুলিশ-সহ কেন্দ্র-রাজ্যের সব সংস্থাকে বলে দেওয়া হয়েছে, সেই সব নাকা-এলাকাগুলিতে ক্লোজ়ড সার্কিট ক্যামেরা বসানো থাকবে। সেখানকার পরিস্থিতির ওয়েবকাস্ট হবে। একই সঙ্গে নজরদারির জন্য ‘ফ্লাইং-স্কোয়াড’-গাড়িগুলিতেও জিপিএস-এর সঙ্গে রাখতে হবে ওয়েবকাস্টের ব্যবস্থা। গোটা ব্যবস্থা চালানোর জন্য একজন নোডাল অফিসার নিযুক্ত হবেন, যিনি সংশ্লিষ্ট সবক’টি বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় রাখবেন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)