জঙ্গলমহলে মাওবাদী হিংসা নেই সাড়ে তিন বছর। কিন্তু মাওবাদীদের লুকনো আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলা-বারুদের একটা বড় অংশের সন্ধান এখনও মেলেনি। এর মধ্যে রয়েছে শিলদার ইএফআর ক্যাম্প থেকে লুঠ হওয়া কয়েকটি স্বয়ংক্রিয় রাইফেলও। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, জঙ্গলমহলেরই কোথাও লুকনো রয়েছে এই অস্ত্রভাণ্ডার। আর তার সন্ধান পেতে মরিয়া পুলিশ এখন রীতি ভেঙে তাদের চরেদের বৈঠকে ডাকল থানায়। আর তাতেই পরিচয় প্রকাশ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করে বিপন্ন বোধ করছেন এই চরেরা।
গোয়েন্দা সূত্রের খবর, জঙ্গলমহলে মাওবাদী কার্যকলাপ বেশ কিছুটা স্তিমিত হলেও বিকাশ, রঞ্জিত পালের মতো নেতারা এখনও অধরা। এরই মধ্যে লালগড়ের সিজুয়া, ধরমপুরের মতো পঞ্চায়েতে দুর্নীতি, স্বজনপোষণের অভিযোগকে ঘিরে তৈরি হচ্ছে মানুষের ক্ষোভ। গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, মানুষের ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে মাওবাদীরা ফের তৎপর হলে এবং লুকনো অস্ত্র পেলে জঙ্গলমহল অশান্ত হয়ে উঠবে।
জনগণের ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে জঙ্গলমহলে নতুন করে আন্দোলন গড়ে তোলার, নাশকতা ঘটানোর ক্ষমতা মনসারাম হেমব্রম ওরফে বিকাশের রয়েছে বলে গোয়েন্দাদের একাংশ মনে করেন। গোয়ালতোড় এলাকার মাকলি গ্রামের বিকাশ আদিবাসী সম্প্রদায়ের, সেটাও তাঁর বড় সুবিধে। ২০০৯-এর জুনে ধরমপুরে সিপিএম নেতা অনুজ পাণ্ডের বাড়ি ভাঙচুরের সময়ে বিকাশই কালাশনিকভ কাঁধে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন। তাঁর স্ত্রী তারাও মাওবাদী নেত্রী। ফেরার অন্য নেতাদের মধ্যে অসীম মণ্ডল ওরফে আকাশ মূলত সংগঠক, রঞ্জিত পাল ওরফে রাহুল নাশকতামূলক কার্যকলাপে পারদর্শী।