গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
নদিয়া জেলার রানাঘাটে ১১২ ফুট দুর্গার অনুমতি দিলেন না নদিয়ার জেলাশাসক। বুধবার তাঁকে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছিল কলকাতা হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার জেলাশাসক জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ দফতর, দমকল, পুলিশ, বিডিও এবং রানাঘাটের মহকুমা শাসক (এসডিও) আবেদন বাতিল করেছেন।
বিদ্যুৎ দফতর জানিয়েছে, ওই পুজো কমিটি প্রতি দিন ৩ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ খরচের কথা জানিয়েছে। কিন্তু প্যান্ডেলের যে আয়তন হয়েছে, তাতে প্রকৃতপক্ষে ২০-২৫ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন। এত পরিমাণ বিদ্যুৎ দেওয়া সম্ভব নয় বলেই আপত্তি জানানো হয়েছে। দমকল ও জরুরি বিভাগ জানিয়েছে, ২০২৩ সালের পুজো এবং জমির অনুমতিপত্র জমা করতে হবে। তা জমা করা হয়নি বলে আবেদন বাতিল হয়েছে।
রানাঘাট পুলিশ জেলার ধানতলা থানা জানিয়েছে, এত বড় দুর্গা হয়েছে যা দেখতে প্রচুর মানুষ ভিড় করতে পারেন। ফলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা রয়েছে। এত বড় দুর্গা হওয়ায় কেব্ল লাইন এবং বিদ্যুতের তারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ১২ ফুট রাস্তার উপর প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে। প্যান্ডেলের আকারের তুলনায় তা খুবই সংকীর্ণ পরিসর। তা ছাড়া পুজোর পরে বিসর্জনের সময় এলাকা দিয়ে ওই প্রতিমা নিয়ে সম্ভব নয়। কলকাতার দেশপ্রিয় পার্কের ঘটনা মাথায় রেখে মানুষের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে আবেদন বাতিল করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, প্রায় এক দশক আগে ২০১৫ সালে বিপুল ভিড়ের কারণে লালবাজারের পুলিশ কর্তারা দেশপ্রিয় পার্কে বিশাল দুর্গা প্রতিমার দর্শন বন্ধ করে দিয়েছিলেন।
রানাঘাটের কামালপুর এলাকার অভিযান সঙ্ঘ ১১২ ফুটের দুর্গা প্রতিমা তৈরি করছে। কিন্তু পুলিশ তাতে অনুমতি দেয়নি বলে অভিযোগ তুলে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন উদ্যোক্তারা। তাঁদের তরফে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং ফিরদৌস শামিম হাই কোর্টকে জানিয়েছিলেন, প্রায় ৫০ বছর ধরে ওই ক্লাব দুর্গাপুজো করছে। কোনও বছর অনুমতি নিয়ে সমস্যা হয় না। এ বছর ১১২ ফুটের দুর্গা প্রতিমা বানানো হয়েছে। যা নজির গড়তে পারে। প্রতি বারের মতো গত ৩ সেপ্টেম্বর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। তাঁরা কোনও সিদ্ধান্ত জানাননি। আবার, কর্তৃপক্ষ কোনও আপত্তিও করেননি। এই পরিস্থিতিতে গত বুধবার কলকাতা হাই কোর্ট ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত জানানোর নির্দেশ দিয়েছিল নদিয়ার জেলাশাসককে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy