সদ্যোজাত ও শিশুদের চিকিৎসায় রাজ্যের সাফল্যের হার ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। গত ১৪ বছরে রাজ্যে নবজাতক ও শিশু মৃত্যুর হার কমে যাওয়া, প্রতিষেধক প্রদান, প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের হার বৃদ্ধি-সহ শিশুদের চিকিৎসার বিভিন্ন দিকের উন্নতির খতিয়ান এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
স্বাস্থ্য দফতর দাবি করেছে, গত ১৪ বছরে মাতৃত্বকালীন যত্ন এবং নবজাতক ও শিশুদের চিকিৎসা ব্যবস্থার বিভিন্ন উন্নতি করা হয়েছে। জন্ম নেওয়া প্রতি এক হাজার জীবিত শিশুর (আইএমআর) মধ্যে ৩২ জন মারা যেত ২০১১ সালে। সেটি কমে এখন ১৭ হয়েছে। যা দেশের সামগ্রিক হারের থেকেও কম বলে স্বাস্থ্য দফতরের দাবি। সদ্যোজাতদের (এনএমআর) ক্ষেত্রে সেটি ২২ থেকে কমে ১৪-এ দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি শিশুদের টিকাদানের হার ৮০ শতাংশ থেকে বেড়ে প্রায় ১০০ শতাংশ হয়েছে।
এক্স হ্যান্ডলে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে দাবি করা হয়েছে, রাজ্যে এখন ৯৯.৫ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব হচ্ছে। যা আগে ছিল ৬৮.১০ শতাংশ। ১৪ বছর আগে রাজ্যে মা ও শিশুর যত্নের জন্য উন্নত 'মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাব'-এর সংখ্যা ছিল শূন্য। সেখানে এখন ১৭টি 'এমসিএইচ' রয়েছে গোটা রাজ্যে। এছাড়াও মোট ১২টি নিয়োনেটাল কেয়ার ইউনিট (নিকু), ২১টি পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (পিকু), ৭১টি সিক-নিয়োনেটাল কেয়ার ইউনিট (এসএনসিইউ) এবং ২৮৬টি সিক নিয়োনেটাল স্টেবিলাইজ়েশন ইউনিট শেষ ১৪ বছরে রাজ্য জুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে।
পরিকাঠামোগত এসব উন্নয়নের পাশাপাশি রাজ্যে শিশু সাথী প্রকল্পে জন্মগত হৃদরোগ, ক্লাবফুট (পায়ের পাতা বাঁকা), ঠোঁট-কাটা এবং বিভিন্ন গুরুতর অসুস্থতায় আক্রান্ত ৩২,০০০-এরও বেশি শিশু উপকৃত হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, ২০১১-১২ আর্থিক বর্ষে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের যে বাজেট বরাদ্দ ছিল তার থেকে পাঁচগুণ বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৫-২৬ সালে তা ২১,৯৩৮.৫২ কোটি টাকা হয়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)