সকালে ঘুম ভাঙার পরে প্রথমেই ভাবতে শুরু করি আজকে কাকে চিঠি লিখব। শহরের উন্নয়নের পাওয়া টাকা আদায় করতে কোনও মন্ত্রী, নাকি সচিবকে চিঠি লিখব সেটা ভাবতে বসি। প্রাপ্য আদায় করতে কোনও দিন চিঠি লিখেছি কোনও দিন রাস্তায় বসে আন্দোলনও করেছি। গত কয়েক বছর ধরে এমন একটা যুদ্ধে লড়ে চলেছি, যেটা আমি শুরু করিনি।
শিলিগুড়ির মানুষ আমাকে মেয়রের দায়িত্ব দেওয়ার পর থেকেই বর্তমান রাজ্য সরকার আমার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল। সেই যুদ্ধ ক্রমেই হয়ে উঠেছে শিলিগুড়ির বিরুদ্ধে যুদ্ধ। শহরের কোনও উন্নয়নে রাজ্য সরকার টাকা দিচ্ছে না। শহরের প্রাপ্য যে প্রকল্প সেগুলির বরাদ্দও আটকে রেখেছে। নিজেরা উদ্যোগী হয়ে কয়েক জন সাংসদের উন্নয়ন তহবিল থেকে অর্থ জোগাড় করেছি, সেই টাকাও মাঝপথে আটকে দিয়েছে প্রশাসন। শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে চেয়ারম্যানও এখন শিলিগুড়ির কোনও জনপ্রতিনিধি নন। রাজ্যে বাম সরকারের আমলে শিলিগুড়ি যে গুরুত্ব পেয়েছিল, তার সবটাই কেড়ে নিয়েছে এই সরকার। এই গুরুত্ব আদায় করাটাই
আমার যুদ্ধ।
ভেঙে ভেঙে বললে, আমি চাইব শহরের ট্র্যাফিক সমস্যা সমাধান হোক। শহর এবং আশপাশে নতুন রাস্তা পরিকল্পনা-সংস্কারে ৩২ কোটি টাকার পরিকল্পনা করেছি। আশা করছি সেই প্রকল্প শুরু হবে নতুন বছরে। নিম্নবিত্ত পরিবারের থাকার জন্য নতুন ১০ হাজার বাড়ি তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই প্রকল্পেও কেন্দ্রীয় সরকার ১২ কোটি টাকা বরাদ্দ করে রেখেছে। রাজ্য সরকার দিচ্ছে না। রেলের জমি অথবা কোনও সরকারি জমিতে থাকতে বাধ্য হন, তাঁরা সকলে পাট্টা পাক সেটা দেখতে চাই। শহরের পানীয় জল সরবারহ মসৃণ করতে বৃহত্তর পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্পের অনুমোদন চাইব রাজ্যের থেকে। মহানন্দা অ্যাকশন প্ল্যানও দিনের আলোর মুখ দেখুক চাইব।
সম্প্রতি আরও একটি প্রবণতা লক্ষ্য করছি। উত্তরবঙ্গের দুই মন্ত্রীর লড়াই শুরু হয়েছে। তাতেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিলিগুড়ি। দুই মন্ত্রীর লড়াই থামুক এটাও নতুন বছরের কাছে আমার চাওয়া, শিলিগুড়ির স্বার্থেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy