পশ্চিমবঙ্গের সব প্রান্তে থাকা সেতু তথা কালভার্টের অডিট রিপোর্ট পাঠাতে হবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তৈরি হওয়া রোড সেফটি কমিটির কাছে। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ তৈরি হওয়া এই কমিটি প্রতি তিন বছর অন্তর দেশের সব সেতু এবং কালভার্টের বিস্তারিত তথ্য বিভিন্ন রাজ্য সরকারের কাছে তলব করে। যদি কোনও উড়ালপুল বা কালভার্টের স্বাস্থ্য সম্পর্কে কোনও উদ্বেগজনক কিছু ধরা পড়ে, তবে রোড সেফটি কমিটি সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারকে সেতুর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে বেশ কিছু পরামর্শও দিয়ে থাকে।
সম্প্রতি এই বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে চিঠি দিয়েছিল রোড সেফটি কমিটি। আর পশ্চিমবঙ্গ সরকার যে জুন মাসেই সেতু এবং কালভার্টের অডিটের কাজ শুরু করেছে, তা গত সপ্তাহেই বিধানসভার অধিবেশনে এসে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে পূর্ত দফতরের অধীন ২২০০টি সেতু রয়েছে। কলকাতা এবং শহরতলি এলাকায় থাকা উড়ালপুলগুলির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছেন কলকাতা মিউনিসিপ্যাল ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ)। পূর্ত দফতর এবং কেএমডিএ পৃথক ভাবে উড়ালপুল এবং কালভার্টগুলির অডিটের কাজ শুরু করেছে। এ বার সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে শুরু শারদোৎসব। তাই সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহেই যাতে অডিটের কাজ শেষ করা যায়, সে বিষয়ে তোড়জোড় শুরু করেছে পূর্ত দফতর এবং কেএমডিএ।
পূর্ত দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘মুখ্যসচিবকে শুধু অডিট রিপোর্টই নয়, এই বিষয়ে বার্ষিক পরিকল্পনার কথাও জানাতে বলেছে রোড সেফটি কমিটি। সেতু পরীক্ষার ক্ষেত্রে আইআরসি স্ট্যান্ডার্ড মেনে সুরক্ষাবিধি পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে। তাই দফতরও সেই সব শর্ত পূরণ করেই অডিট রিপোর্ট তৈরি করতে চায়।’’