কালনায় প্রচারে যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার মধুমিতা মজুমদারের তোলা ছবি।
সিবিআই বা ইডি-র জুজু দেখিয়ে যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দমিয়ে রাখবে ভাবছে, তারা ভুল করছে। সোমবার বর্ধমানের কালনা ও মেমারিতে পুরভোটের প্রচারে গিয়ে এই দাবি করলেন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘‘২০১৩, ’১৪, ’১৫-তেও সারদা ইস্যু হয়েছিল। ২০১৬-তেও হবে। কিন্তু মানুষ আবার মা সারদা করে মমতাকে মহাকরণে পাঠাবেন।
বিকেলে কালনায় ভরা মাঠে বক্তৃতা করে মেমারি যান অভিষেক। গত পুরভোটে সেখানে ১৬টি আসনই দখল করে তৃণমূল। পৌনে এক ঘণ্টার বক্তৃতায় দলের প্রার্থীদের আগাম অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা দাঁড়িয়েছেন, তাঁদের সকলের নামই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’’ দাবি করেন, ‘‘এখানে ১৬-০ হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা।’’
যে ৯১টি পুরসভায় ভোট হচ্ছে, তার সব ক’টিতেই তৃণমূল নিরঙ্কুশ হবে বলেও দাবি অভিষেকের। মেমারির সভাও ছিল ভিড়ে ঠাসা। তৃণমূলের হিসেবে হাজার দশেক লোক হয়েছিল। যা দেখে খুশি অভিষেক বলেন, ‘‘মনে হচ্ছে তৃণমূলের বিজয়োৎসব!’’ জেলা তৃণমূল সভাপতি (গ্রামীণ) স্বপন দেবনাথ মেমারির বিদায়ী পুরপ্রধান স্বপন বিষয়ীকে বলেন, ‘‘মেমারিতে কি আর বড় জায়গা ছিল না? হাজার হাজার মানুষ অভিষেকের বক্তৃতা শুনতে চান।’’
অভিষেক অবশ্য বারবার মমতার কথাই তুলেছেন। তাঁর আর্জি, ‘‘মমতা সব কিছু। মমতাকে দেখে ভোট দিন।’’ প্রচার মঞ্চে ছিলেন ডেরেক ও ব্রায়েন, ইন্দ্রনীল সেনরাও। মাইক ধরে ডেরেক বলেন, ‘‘কে প্রার্থী হল, কে হল না তা বড় কথা নয়, জোড়া ফুলে বোতাম টিপবেন ভোট চলে যাবে কালীঘাটে।’’
কলকাতার ভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুড়ি মেরে উড়িয়েছেন মমতা। রবিবার রামপুরহাটে গিয়ে ফিরহাদ হাকিম ‘কিছু অশান্তি’ হয়েছে মেনে নিলেও অভিষেকের দাবি, ‘‘কলকাতায় ভোট নিয়ে ওরা সন্ত্রাসের মিথ্যে অভিযোগ করছে। একটা ঘটনা দেখাক। ফুটবলে দশ গোল খেলে বলে না, ল্যাং মেরে ফেলে দিয়েছে, এখানেও তাই।’’ তাঁর চ্যালেঞ্জ, ‘‘বিরোধী প্রার্থীরা যখন ভোট চাইতে যাবেন, জিজ্ঞাসা করুন মানুষের জন্য কী করেছেন। মমতা সরকারের আমলে যে কাজ হয়েছে, তার পাঁচ শতাংশ কাজের হিসেব যদি সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস দিতে পারে, তা হলে আমি কালই ইস্তফা দেব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy