তুর্কমেনিস্তানের আন্তর্জাতিক ফোরামে যোগ দিয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তায়িপ এর্ডোগান এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের কথা ছিল। কিন্তু অভিযোগ, পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের জন্য নির্ধারিত সময়ের বাইরে প্রায় ৪০ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়েছে শাহবাজ়কে। পুতিন সে সময় এর্ডোগানের সঙ্গে বৈঠক করছিলেন। একটি ভিডিয়ো দেখিয়ে কেউ কেউ দাবি করেছেন, অপেক্ষা করতে করতে অধৈর্য হয়ে পড়েন শাহবাজ়। একসময় তিনি পুতিন-এর্ডোগান বৈঠকের মাঝে ঢুকে পড়েন। তবে সেই ঘটনার সত্যাসত্য যাচাই করা যায়নি। যাঁরা ভিডিয়োটি প্রকাশ করেছিলেন, তাঁরা ‘ভুল উপস্থাপনা’র কথা বলে পরে তা মুছে দেন। এ বার জল্পনার মাঝে তা নিয়ে মুখ খুলল মস্কোও।
তুর্কমেনিস্তানের রাজধানী আশগাবাতে আয়োজিত আন্তর্জাতিক ফোরামে যোগ দিতে ১২ ডিসেম্বর সেখানে যান পুতিন। তাঁর সঙ্গে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়। সেই বৈঠক প্রকাশ্যে হয়নি। বরং কিছুটা গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়েছিল। পরে ক্রেমলিনের তরফে পুতিন-এরডোগান বৈঠক নিয়ে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। দুই রাষ্ট্রনেতার আলোচনার বিষয়বস্তু কী ছিল, তা সেখানে জানানো হয়েছে। রয়েছে পাক প্রধানমন্ত্রীর কথাও।
আরও পড়ুন:
ক্রেমলিনের বিবৃতি অনুযায়ী, রাশিয়া ও তুরস্কের পারস্পরিক সম্পর্ক, বাণিজ্য, অর্থনীতি ছিল পুতিনদের আলোচনার কেন্দ্রে। এ ছাড়া, তৃতীয় পক্ষ থেকে আসা চাপ কী ভাবে মোকাবিলা করা হবে, তা নিয়েও দুই রাষ্ট্রপ্রধান কথা বলেছেন । বিশদ কথা হয়েছে ইউক্রেন সমস্যা, রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউরোপীয় আগ্রাসন নিয়ে। পুতিন ও এরডোগানের বৈঠক চলাকালীন কিছু ক্ষণ পরে আলোচনায় যোগ দেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী, জানিয়েছে ক্রেমলিন। শাহবাজ়ের ৪০ মিনিটের অপেক্ষা বা আচমকা দুই নেতার আলোচনায় ঢুকে পড়ার কথা কিছু বলা হয়নি।
উল্লেখ্য, রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা কারও অজানা নয়। বরং আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে তা আলোচনার কেন্দ্রে। কিছু দিন আগেই পুতিন ভারতে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করে গিয়েছেন। আবার, তুরস্কের সঙ্গে পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠতা নিবিড়। গত মে মাসে ভারত ও পাকিস্তানের সংঘাতের সময় প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে সমর্থন করেছিল এরডোগানের দেশ। ভারতের ‘বন্ধু’ এবং পাকিস্তানের ‘বন্ধু’র এই বৈঠক নিয়ে তাই আন্তর্জাতিক মহলে কৌতূহল রয়েছে। সেখানেই যোগ দিয়েছিলেন শাহবাজ়ও।