স্টেশন পাড়ায় সেই বাড়ি। মঙ্গলবার তোলা নিজস্ব চিত্র।
মধ্যমগ্রামে জোড়া খুনের ঘটনায় অন্যতম মূল অভিযুক্ত বাবু ঘোষের সন্ধানে নেমে জেলার নানা প্রান্তেও নজর রাখতে হচ্ছে পুলিশকে। বাবুর বনগাঁর শ্বশুরবাড়িটি মঙ্গলবার সকালে সিল করে দিয়েছে পুলিশ।
বনগাঁর রেলবাজার স্টেশন পাড়ায় বাবুর শ্বশুরবাড়ি। এ দিন বনগাঁর এসডিপিও বিশ্বজিৎ মাহাতোর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ওই বাড়িতে যায়। সেখানে অবশ্য বাড়িতে কেউ ছিলেন না। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার খুনের ঘটনার পরে বাবু তার লেকটাউনের ফ্ল্যাটে গিয়ে সেখানে তালা লাগিয়ে পালিয়ে বনগাঁর শ্বশুরবাড়িতে আশ্রয় নেয়।
বনগাঁর স্টেশন পাড়ার কাপড়ের ব্যবসায়ী অরুণ ঘোষ বাবুর শ্বশুর। পড়শিরা জানিয়েছেন, অরুণবাবুর দুই ছেলেমেয়ে। মেয়ে অনিতা বড়। তাঁর সঙ্গেই বছর পাঁচেক আগে বিয়ে হয় বাবুর। বাবু শুক্রবার শ্বশুরবাড়িতে এলেও শনিবার ভোররাতে শ্বশুর-শাশুড়ি ও শ্যালককে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। মছলন্দপুরে বাবুর দাদা ভাড়া থাকতেন। তিনি শুক্রবার মারা গিয়েছেন। এলাকার লোকজন ধরে নেন, সকলে সেখানেই গিয়েছে। কিন্তু তাদের ভুল ভাঙে শনিবার রাতে, বাড়িতে পুলিশ যাওয়ার পরেই। পড়শিরা আরও জানান, বিয়ের পর বার কয়েক দামি গাড়ি নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে এসেছে বাবু। সেখানে মদ্যপান করত। বাড়ি থেকে বিশেষ বেরোত না। জেলা পুলিশ জানিয়েছে, মছলন্দপুরে বাবুর দাদার বাড়িতে এবং বসিরহাটে এক দিদির বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সোমবার রাতে বাদুরিয়ায় অল্পের জন্য বাবু পুলিশের হাত থেকে রক্ষা পেয়ে যায়।’’ বাবুর সঙ্গে কামারহাটি ও বেলঘরিয়ার দুষ্কৃতীদের যোগাযোগ রয়েছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। খুনের ঘটনায় ওই সব এলাকার দুষ্কৃতীদের যুক্ত থাকার প্রমাণও হাতে এসেছে পুলিশের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy