Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Sovan Chatterjee

শান্তিতেই আছেন শোভন, গোলপার্কের বাড়িতে ফেরার পর ডাক্তারও ডাকতে হয়নি, বলছেন বৈশাখী

বাড়ির পরিবেশে শরীর ভাল থাকলেও মনটা ভাল নেই শোভনের। কারণ, সম্প্রতি তাঁর এক দাদার মৃত্যু হয়েছে। ওষুধ খাচ্ছেন নিয়মিত।

শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।

শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০২১ ১৯:৪৩
Share: Save:

গোলপার্কের বহুতলের ফ্ল্যাটে ভাল আছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। আদালতের নির্দেশে ‘গৃহবন্দি’ কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শান্তিতেও আছেন। সোমবার এমনই জানালেন তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বাড়ির পরিবেশে শরীর ভাল থাকলেও মন ভাল নেই শোভনের। কারণ সম্প্রতি তাঁর এক দাদার মৃত্যু হয়েছে। আনন্দবাজার ডিজিটালকে বৈশাখী বলেন, ‘‘এমনিতে কোনও সমস্যা নেই। স্বাভাবিক খাবারদাবার খাচ্ছেন। তবে দাদার মৃত্যু নিয়ে একটু মানসিক চাপে আছেন।’’

গত সোমবার সকালে গোলপার্কের বাড়ি থেকেই সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর সোমবার রাতে প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে অসুস্থ বোধ করেছিলেন শোভন। তখনও বৈশাখী জেলের ফটকে গিয়েছিলেন তাঁর ওষুধ নিয়ে। শোভনের অসুস্থতার কথা বলতে বলতে সেখানে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। এর পরে এসএসকেএম হাসাপাতালে ভর্তি করানো হয় শোভনকে। শনিবার রাত পর্যন্ত সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। শনিবার ব্যক্তিগত রিস্ক বন্ডে সই করে এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে প্রেসিডেন্সি জেল হয়ে গোলপার্কের বাড়িতে যান শোভন। আপাতত আদালতের নির্দেশে সেখানেই তিনি ‘গৃহবন্দি’। হাসপাতালে থাকার সময়েই গত শনিবার সংবাদমাধ্যমকে শোভন জানিয়েছিলেন— তিনি সুস্থ। তাঁকে জোর করে হাসপাতালে আটকে রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি বৈশাখীর অভিযোগ ছিল, শোভনের যে সব অসুখের নিয়মিত চিকিৎসা চলে, তার বাইরে বিশেষ কিছু হচ্ছে না হাসপাতালে। এর পরেই ব্যক্তিগত রিস্ক বন্ডে সই করেন শোভন। তার পরে জেলে গিয়ে নিয়মরক্ষার পরে চলে যান গোলপার্কের বাড়িতে। তার পর থেকে তিনি সেখানেই আছেন বান্ধবী বৈশাখীর সঙ্গে। বৈশাখীই তাঁর পরিচর্যার ভার নিয়েছেন।

শোভন হাসপাতালে থাকার সময়েই বৈশাখী জানিয়েছিলেন, বাড়িতে যাতে শোভনের চিকিৎসা চালানো যায়, সে জন্য গোলপার্কের ফ্ল্যাটে হাসপাতালের মতোই ব্যবস্থা করছেন তিনি। অক্সিজেন, নেবুলাইজারের ব্যবস্থাও করেছেন। তবে সোমবার বৈশাখী জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত শোভনের জন্য সে সব কিছুই ব্যবহার করতে হচ্ছে না। একটি বারের জন্য ডাক্তারও ডাকতে হয়নি। বৈশাখী বলেন, ‘‘বাড়ির পরিবেশ ওঁকে অনেকটা শান্তি দিয়েছে। টিভি দেখছেন। খাবার খাচ্ছেন। খবর পড়ছেন। অক্সিজেন, নেবুলাইজার কোনও কিছুরই দরকার পড়েনি।’’ একই সঙ্গে বৈশাখী বলেন, ‘‘এখনও বুকে ব্যথা আছে। তবে সেটা অনেকটাই কম। হাসপাতাল থেকে ১৪ দিনের যে ওষুধ খেতে বলা হয়েছিল সেটা চলছে।’’ তবে শোভনের খাওয়াদাওয়া চলছে একেবারেই ডায়াবেটিক রোগীর ডায়েট মেনে। রক্তে শর্করার পরিমাণ বেশি থাকার কারণে তাঁকে খাবারের ব্যাপারে নির্দিষ্ট বিধিনিষেধের মধ্যে থাকতে হয়। সেগুলিই তিনি বাড়িতে মেনে চলছেন বলে জানিয়েছেন বৈশাখী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE