থাকেন বাংলাদেশে। সেখানে স্কুলে শিক্ষকতা করেন। তাঁর নাম এ দেশের ভোটার তালিকায়! ‘ভূতুড়ে ভোটারের’ সন্ধানে বেরিয়ে এ কথা জানতে পারলেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর ঘটনা। পূর্বস্থলী উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভূতুড়ে ভোটারদের খুঁজে বার করার কথা বলছেন। সেই মতো ভোটার তালিকা যাচাইয়ের কাজে বেরিয়ে এই ঘটনা জানা গেল। বাংলাদেশিদের নাম এ দেশের ভোটার তালিকায় ঢুকিয়ে দেওয়ার কোনও চক্র কাজ করছে বলে মনে হচ্ছে।’’
তপন জানান, ভোটার তালিকায় ভৃগুরাম দাস নামে এক ব্যক্তি রয়েছেন। তিনি বাংলাদেশেই থাকেন। শিক্ষকতা করেন সেখানে। কিন্তু তাঁর পরিবার আবার পূর্বস্থলী উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত কালেখাঁতলা ১ নম্বর পঞ্চায়েতের অধীন নন্দীগ্রামে থাকে। এলাকাবাসীর দাবি, প্রায় দু’দশক ধরে পূর্বস্থলী উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত কালেখাঁতলা ১ নম্বর পঞ্চায়েতের অধীন নন্দীগ্রামে থাকে ভৃগুরামের পরিবার। তাদের একতলা পাকা বাড়ি-সহ জমিজমাও রয়েছে। ভৃগুরামের এক পুত্র শিফনচন্দ্র দাস এখানেই টোটো চালান। ভৃগুরামের স্ত্রী, পুত্র, বৌমা ও নাতনি সকলেই নন্দীগ্রামের বাড়িতেই থাকেন।
এ কথা স্বীকারও করেছেন ভৃগুরামের স্ত্রী সুলেখারানি দাস। তিনি বলেন, ‘‘আমার স্বামী ভৃগুরাম দাস পূর্বস্থলীর নন্দীগ্রামের বাড়িতেই থাকতেন।এই রাজ্যের ভোটারও হন। তবে আমাদের বিয়ে হয় বাংলাদেশে। তার পর বাংলাদেশের দাসকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার চাকরি পাওয়ার পর থেকে আমার স্বামী বাংলাদেশের ঘোলা জেলার চরপেশো এলাকায় থাকতে শুরু করেন। তখনই তিনি বাংলাদেশের ভোটার হন। তাই পশ্চিমবঙ্গে তিনি কোনও দিনই ভোট দেননি। স্বামী বর্তমানে অবসর নিয়েছেন। এখন গৃহশিক্ষকতা করেন।’’
বিধায়ক জানিয়েছেন, ভৃগুর নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে। পাশাপাশিই তাঁর বক্তব্য, ‘‘এর নেপথ্যে কোনও চক্র কাজ করছে। ১৫-২০ হাজার টাকা করে নিয়ে অনলাইন মাধ্যমে ভোটার তালিকায় নাম তুলে দিচ্ছে।’’ বিধায়কের অভিযোগ, তাঁর এলাকার বাসিন্দা নন, এ রকম কয়েকশো জনের নাম ভোটার তালিকায় রয়েছে। তা নিয়ে তিনি ইতিমধ্যেই ব্লক প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। এ বার পুলিশেরও দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন বিধায়ক।