ঝাঁটিপাহাড়ি রেঞ্জের আধিকারিক ইশা বসু বলেন, ‘‘শুশুনিয়া পাহাড়ে ঝরা পাতায় আগুন লাগার পিছনে কে বা কারা রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর পিছনে অসাধু চক্র রয়েছে কি না তাও দেখা হচ্ছে। অনেক সময় সচেতনতার অভাবে জঙ্গলে আগুন লাগানো হয়। দোলের সময় বহু পর্যটক শুশুনিয়া বেড়াতে এসেছিলেন। তাঁদের কারও অসাবধানতার ফলেই আগুন লাগলো কি না জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।’’
নিজস্ব চিত্র।
বনকর্মীদের রাতভর চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে এল শুশুনিয়া পাহাড়ের আগুন। শনিবার দুপুরে বন দফতর পাহাড়ের গাছে আগুন লাগার খবর পায়। সন্ধ্যার মধ্যেই দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাহাড়ের অন্যত্র। রাতভর ব্লোয়ার দিয়ে পাহাড়ের গায়ে পড়ে থাকা ঝরা পাতা সরানোর কাজ চলে। রবিবার সকালে বন দফতর দাবি করে, শুশুনিয়া পাহাড়ের আগুন নেভানো সম্ভব হয়েছে। যদিও তা মানতে নারাজ স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের দাবি, শুশুনিয়া পাহাড়ের বিভিন্ন অংশে এখনও বিক্ষিপ্ত ভাবে ঝরাপাতায় ধিকিধিকি আগুন জ্বলছে। বাঁকুড়ার শুশুনিয়া পাহাড়ে ঝরা পাতায় আগুন লাগার ঘটনা নতুন নয়। প্রতি বছরই শীতের শেষে ও বসন্তে অগ্নিকাণ্ড ঘটছে। ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত ভাবে এই অগ্নিকাণ্ডের পিছনে মানুষের হাত রয়েছে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত বন দফতর। কিন্তু কেন এ ভাবে বার বার আগুন লাগছে? ঝাঁটিপাহাড়ি রেঞ্জের আধিকারিক ইশা বসু বলেন, ‘‘শুশুনিয়া পাহাড়ে ঝরা পাতায় আগুন লাগার পিছনে কে বা কারা রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর পিছনে অসাধু চক্র রয়েছে কি না তাও দেখা হচ্ছে। অনেক সময় সচেতনতার অভাবে জঙ্গলে আগুন লাগানো হয়। দোলের সময় বহু পর্যটক শুশুনিয়া বেড়াতে এসেছিলেন। তাঁদের কারও অসাবধানতার ফলেই আগুন লাগলো কি না জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।’’
এখন আগুন লাগার ফলে শুশুনিয়া পাহাড়ের কী কী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা খতিয়ে দেখছে বন দফতর। প্রাথমিক ভাবে আগুনে কোনও বন্য জন্তু বা বড় সরীসৃপের মৃত্যুর প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
এই ঘটনার পর এ বার পর্যটক থেকে এলাকার মানুষ, সকলের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে শুশুনিয়া পাহাড় ও পাহাড় সংলগ্ন এলাকায় রবিবার থেকেই মাইকে প্রচার চলছে। পাহাড়ের বিভিন্ন অংশে পোস্টার ও নোটিস দিয়ে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। বাঁকুড়া উত্তর বন বিভাগের ডিএফও কল্যাণ রাই বলেন, ‘‘শুশুনিয়া পাহাড়ে আমরা নিয়মিত নজরদারি চালাই। পাতা ঝরার মরসুমে নিয়মিত সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হয়। আগুন নজরে আসতেই অত্যন্ত তৎপরতার সাথে পদক্ষেপ করেছি। তাই এত দ্রুত আগুন নেভাতে সক্ষম হয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy